1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিউত্তর কোরিয়া

দক্ষিণের সামরিক মহড়ার মুখে উত্তর কোরিয়ার আস্ফালন

২১ আগস্ট ২০২৩

অ্যামেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার মুখে উত্তর কোরিয়া কৌশলগত ক্রুজ মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে বলে দাবি করছে৷ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কড়া পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন৷

https://p.dw.com/p/4VORz
কিম জং উন নিজে পূর্ব উপকূলে এক যুদ্ধজাহাজ থেকে কৌশলগত ক্রুজ মিসাইল উৎক্ষেপণ পরিদর্শন করেছেন।
কিম জং উন নিজে পূর্ব উপকূলে এক যুদ্ধজাহাজ থেকে কৌশলগত ক্রুজ মিসাইল উৎক্ষেপণ পরিদর্শন করেছেন।ছবি: YNA/picture alliance

অ্যামেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার মুখে উত্তর কোরিয়া কৌশলগত ক্রুজ মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে বলে দাবি করছে৷ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কড়া পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন৷

কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা কখনো পুরোপুরি দূর হয় না৷ এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া বাৎসরিক যৌথ সামরিক মহড়া শুরুর আগেই উত্তর কোরিয়া বেশ প্রতীকী পদক্ষেপ নিয়ে নিজস্ব শক্তি প্রদর্শন করলো৷ সে দেশের শীর্ষ নেতা কিম জং উন নিজে পূর্ব উপকূলে এক যুদ্ধজাহাজ থেকে কৌশলগত ক্রুজ মিসাইল উৎক্ষেপণ পরিদর্শন করে কড়া বার্তা দিয়েছেন৷ উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ সোমবার এই খবর জানিয়েছে৷ রাষ্ট্রীয় সূত্র অনুযায়ী যুদ্ধজাহাজের আক্রমণের ক্ষমতা ও মিসাইল সিস্টেমের কার্যকারিতা খতিয়ে দেখতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷ সেইসঙ্গে ‘প্রকৃত যুদ্ধ' হলে হামলা চালানোর জন্য নাবিকদের ক্ষমতার উন্নতিও জরুরি ছিল৷ কেসিএনএ জানিয়েছে, কিম সব দেখেশুনে অত্যন্ত সন্তুষ্ট৷ উল্লেখ্যস অ্যামেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়াকে উত্তর কোরিয়া যুদ্ধের ‘রিহার্সাল' হিসেবে গণ্য করে৷

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উৎক্ষেপণের লক্ষণ আগেই শনাক্ত করা হয়েছিল৷ তবে কেসিএনএ সংস্থার দাবিকে বাস্তবের তুলনায় ‘অতিরঞ্জিত' বলে মন্ত্রণালয় বর্ণনা করেছে৷ তবে উত্তর কোরিয়া ঠিক কী করেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায় নি৷ সোমবার অ্যামেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া পূর্বঘোষিত ‘উলচি ফ্রিডম শিল্ড' নামের গ্রীষ্মকালীন সামরিক মহড়া শুরু করেছে৷ ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত সেই মহড়া চলবে৷ উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকির জবাব দিতে প্রস্তুতি হিসেবেই এই মহড়া চালানো হচ্ছে বলে দুই দেশ জানিয়েছে৷ চলতি বছরের মহড়া এ যাবৎ সবচেয়ে বড় হবে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী আগেই জানিয়েছিল৷ জাতিসংঘের কমান্ডের কয়েকটি সদস্য দেশও মহড়ায় অংশ নিচ্ছে৷

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়েওল জানিয়েছেন, এবারের সামরিক মহড়া শুধু প্রচলিত যুদ্ধের প্রস্তুতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই৷ সাইবার যুদ্ধ, সন্ত্রাসী হামলা বা ড্রোন হামলার মুখে কী করা যায়, সেই প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে৷ তাছাড়া উত্তর কোরিয়া ভুয়া খবরের অভিযানও চালাতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন৷ সম্ভাব্য উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা সামরিক মহড়া বানচাল করতে আগেই কনট্র্যাকটরদের ইমেল হামলা চালিয়েছে৷

জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ইয়ুন বলেন, ‘‘একমাত্র অপ্রতিরোধ্য শক্তির মাধ্যমে প্রকৃত শান্তি আসতে পারে৷ একতরফা ভিক্ষার আবেদন বা গুডউইল দিয়ে কিছু হবে না৷ তাঁর মতে, উত্তর কোরিয়া বার বার আগে থেকেই পরমাণু অস্ত্র হামলা ও আগ্রাসী যুদ্ধের কথা বলে৷ কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া যে কোনো উসকানির উচিত জবাব দিতে প্রস্তুত৷

দক্ষিণ কোরিয়ার নেতৃত্ব সামরিক মহড়ার মুখে উত্তর কোরিয়ার কোনো পালটা পদক্ষেপের আশঙ্কা করছিল৷ প্রতিবাদ দেখাতে সে দেশ ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা বা অন্য কোনো সামরিক পদক্ষেপ নেবে, সৌল এমনটা ধরেই নিয়েছিল৷ তার উপর গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও অ্যামেরিকার যৌথ শীর্ষ সম্মেলনের কারণে উত্তর কোরিয়া আরো মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে তাদের ধারণা৷ গত দুই বছর ধরেই পিয়ং ইয়ং কৌশলগত ক্রুজ মিসাইল পরীক্ষা করছে৷ সেগুলির উপর পরমাণু অস্ত্র বসানো সম্ভব বলে অনেক সামরিক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)