1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

থ্রিডি প্রিন্টারে সাবেকি গয়না

৬ জুলাই ২০১৭

থ্রিডি প্রিন্টার ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, সাধারণ মানুষের নাগালেও চলে আসছে৷ জার্মানির এক শিল্পী ঐতিহাসিক গয়নার প্রেরণার ভিত্তিতে বর্তমান যুগের উপযোগী ডিজাইনে এমন সৃষ্টিকর্মে মেতে উঠেছেন৷

https://p.dw.com/p/2g0ST
Bentley Detail
ছবি: Reuters/Jacky Naegelen

থ্রিডি প্রিন্টার জোরকদমে চলছে৷ এবার তাকে একটি গয়না প্রিন্ট করতে দেওয়া হয়েছে৷ ঘণ্টাতিনেক পর গয়না প্রস্তুত হয়ে গেলে সেটি জার্মান শিল্পী সিলভিয়া ভাইডেনবাখের সংগ্রহে স্থান পাবে৷ তাঁর সৃষ্টিকর্ম আসলে চারিপাশের পরিবেশের প্রতিফলন৷ কখনো তা সামুদ্রিক কোরাল হতে পারে, কখনো বা ক্যালেডোস্কোপ৷ ভাইডেনবাখ জার্মানির দক্ষিণে সোনা ও রুপোর গয়না তৈরির কাজ শিখেছেন৷ কয়েক বছর আগে পর্যন্তও তিনি চিরায়ত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট কিছু বস্তু তৈরি করতেন৷ তিনি বলেন, ‘‘রুপোর গয়না তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়ে শুরু করেছিলাম৷ মৌলিক চিরায়ত সাজসরঞ্জাম নিয়ে কাজ করতে শিখেছিলাম৷ মাথায় যে আইডিয়া রয়েছে, তা প্রথমে কাগজে এঁকে তারপর তার রূপান্তর ঘটানোর শিক্ষা নিয়েছিলাম৷''

তিনি ‘হ্যাপটিক আর্ম' নিয়ে কথা বলছেন, যা আসলে এক ডিজিটাল টুল৷ সেটি দিয়ে কম্পিউটারে ভার্চুয়াল বস্তুর মধ্যে রদবদল ঘটানো যায়৷ মাটির তাল থেকে মূর্তি তৈরির জন্য যে টুল ব্যবহার করা হয়, এটা অনেকটা তার মতো৷ সিলভিয়া ভাইডেনবাখ বলেন, ‘‘এখানে আমি বস্তুটির জন্য মাটির তালের পরিমাণ টের পাই৷ আমি আরও উপকরণ যোগ করতে পারি, বাদ দিতে পারি, কতটা নরম বা শক্ত হবে – তা স্থির করতে পারি৷''

থ্রিডি প্রিন্টারে সাবেকি গয়নার নতুন রূপ

ভাইডেনবাখ বর্তমানে লন্ডন শহরে ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট মিউজিয়ামে আর্টিস্ট-ইন-রেসিডেন্স হিসেবে কাজ করছেন৷ আগামী নভেম্বর মাসে ‘গয়নার বাক্স' নামে তাঁর এক থ্রিডি সৃষ্টিকর্ম জিলবার্ট কালেকশন অফ ডেকোরিটিভ আর্টস-এ প্রদর্শিত হবে৷ মিউজিয়ামের প্রতিনিধি শার্লট জনসন বলেন, ‘‘সিলভিয়া যে সংবেদনশীলতার সঙ্গে ঐতিহাসিক উপকরণ নিয়ে কাজ করেন, সে কারণে আমরা তাঁকেই বেছে নিয়েছি৷ তবে তিনি ‘হিস্টোরিসিস্ট' নন৷ তিনি আসলে ইতিহাস থেকে প্রেরণা নিয়ে দারুণ সব নতুন সৃষ্টি করতে পারেন৷''

সিলভিয়া ভাইডেনবাখ নিজে বলেন, ‘‘অতীতের সৃষ্টি আমার কাছে এটা বিশাল প্রেরণা৷ চিনামাটির মতো উপকরণের ক্ষেত্রে নিখুঁত কাজ, উপকরণের প্রয়োগ এবং কিছুটা প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সত্যি বিস্ময়কর৷ আমি এমন অনেক দৃষ্টান্ত দেখতে পাই৷

এর মধ্যে অনেক ফ্যাশন কোম্পানিও তাদের পণ্য তৈরি করতে থ্রিডি প্রিন্টার ব্যবহার করতে শুরু করেছে৷ এমনকি প্রিন্টারে জুতোও তৈরি হচ্ছে৷ যেমন নেদারল্যান্ডস-এর ডিজাইনার ইরিস ফান হ্যারপেন স্থপতি রেম কোলহাস-এর সঙ্গে মিলে একজোড়া থ্রিডি বুটজুতো সহ এক শিল্প সৃষ্টি করেছেন৷

স্টুডিওয় ফিরে ভাইডেনবাখ আরেকটি বস্তু প্রিন্ট করতে দিচ্ছেন৷ অবশ্যই এই সব প্রযুক্তি আপডটেড সফটওয়্যার ও শক্তিশালী ইন্টারনেট সংযোগের উপর নির্ভর করে৷ এর মধ্যে একটিতে গোলমাল হলেই গোটা প্রক্রিয়া বানচাল হয়ে যায়৷ প্রায় তিন ঘণ্টা পর ব্রেসলেট বা হাতের বালার প্রোটোটাইপ প্রস্তুত৷ সিলভিয়া বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, থ্রিডি প্রিন্টিং সম্পর্কে প্রাথমিক বিস্ময় কেটে গেছে৷ ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই প্রযুক্তি রয়েছে৷ গত ১০ বছর ধরে আমরা তার নাগাল পাচ্ছি৷ বর্তমানে উপকরণের ব্যবহার, আরও সূক্ষ্ম কাজ, বিভিন্ন উপকরণের সমন্বয় দেখার মতো৷ ধাতু প্রিন্টিং নিয়েও আমার আগ্রহ রয়েছে, যা খুবই বিরল হতে পারে৷''

থ্রিডি পদ্ধতিতে তৈরি গয়নার মাধ্যমে ভাইডেনবাখ বর্তমান যুগের চেতনা তুলে ধরছেন৷

মেগিন লেই/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য