সেনাপ্রধানের সতর্কবার্তা
২৭ ডিসেম্বর ২০১৩গত বৃহস্পতিবার বিরোধী দলের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে দুজন নিহত হওয়ার পর সামরিক বাহিনীর কাছে সহায়তা চেয়েছিল ইংলাক সিনাওয়াত্রার সরকার৷ শুক্রবার সেনাপ্রধান প্রায়ুথ চান-ওচা সরকার ও বিরোধী দলের সকল নেতা-কর্মীকে শান্ত হবার অনুরোধ জানান৷ সামরিক অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা আছে কিনা - জানতে চাইলে সম্ভাবনা নাকচ না করে তিনি বলেন, ‘‘দরজাটি খোলা নয়, বন্ধও নয়৷'' তাঁর এমন ইঙ্গিতবাহী মন্তব্যের পর পরিস্থিতি শান্ত হয় কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়৷ এ পর্যন্ত কমপক্ষে এগারবার সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে থাইল্যান্ডে৷ গণতন্ত্রের পথে অগ্রযাত্রা আবার সেনা হস্তক্ষেপের ফলে থেমে যাওয়ার আশঙ্কা তাই উড়িয়ে দেয়া যায়না৷
গত ১ নভেম্বর ক্ষমতাসীন জোট সরকার দেশ ছেড়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে ফিরিয়ে আনতে তাঁর বিরুদ্ধের সব অভিযোগ প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়ার পরই শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ৷ থাকসিন ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন৷ অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হবার পর দেশ ছেড়ে যান তিনি৷ দুর্নীতিসহ বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে৷
প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা তাঁর ক্ষমতাচ্যুত এবং দেশান্তরিত বড় ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রার মতোই দেশ চালাচ্ছেন – এই অভিযোগে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন সুতেপ তাউকসুবান৷ সংসদ থেকে পদত্যাগ করে তিনি আন্দোলন শুরু করেন ১ নভেম্বর থেকে৷ বিক্ষোভ ব্যাপক রূপ নেয়ায় নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক৷ আগামী ২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হওয়ার কথা৷
তবে বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ইংলাককে ক্ষমতায় রেখে তারা কোনো নির্বাচনে যাবেন না৷ ২০১১ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে পুয়েআ থাই পার্টির নেতৃত্বে জোট সরকার গঠন করেন ইংলাক৷ দেশের দরিদ্র অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে জনপ্রিয় পুয়েআ থাই পার্টির আসন্ন নির্বাচনেও জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি৷
এসিবি/ জেডএইচ (এপি,এএফপি)