ত্রাণ বিতরণ করছে মাদক পাচারকারীরা!
২৭ এপ্রিল ২০২০মেক্সিকোর অন্যতম মাদক পাচারকারী গোষ্ঠী সিনালোয়ার প্রধান হোয়াকিন ‘এল চাপো' গুজম্যান এখন যুক্তরাষ্ট্রে বন্দি রয়েছেন৷ তার মেয়ে আলেহান্দ্রিনা গুজম্যানের নেতৃত্বে বয়স্ক ও গরিব মানুষদের মধ্যে চাল ও টয়লেট পেপার বিতরণ করা হয়েছে৷ যে প্যাকেটে করে এসব ত্রাণ দেয়া হয়েছে তার গায়ে ‘এল চাপো ৭০১' ফ্যাশন ব্র্যান্ডের লোগো রয়েছে৷ গুজম্যান এই ব্র্যান্ডের মালিক৷ মেক্সিকোর হালিস্কো প্রদেশে এর নিবন্ধন রয়েছে৷
গুজম্যানের মেয়ে ছাড়াও আরো অনেক মাদক পাচারকারী গোষ্ঠী ত্রাণ বিতরণ করছে৷ যেমন, সান লুইস পস্তোসি শহরে ত্রাণ দিয়েছে নুয়েভা হেনেরাসিয়ন গোষ্ঠী৷ অস্ত্রহীন সাধারণ নাগরিকদের ত্রাণ কার্যক্রমে বাধা দেয়ার আইনগত কোনো উপায় না থাকায় শহরের মেয়রের পক্ষে নুয়েভা হেনেরাসিয়নর কাজ বন্ধ রাখা সম্ভব হয়নি৷
করোনার কারণে মাদক পাচারের রুটগুলো এখন বন্ধ রয়েছে৷ লাতিন অ্যামেরিকা থেকে কোকেন আসতে পারছে না৷ সিনথেটিক ড্রাগ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কেমিক্যালও চীন থেকে আসতে পারছে না৷
এই অবস্থায় মাদক পাচারকারী গোষ্ঠীগুলোর ত্রাণ কার্যক্রমকে তাদের ‘উপস্থিতি জানান দেয়ার একটি প্রোপাগান্ডা কৌশল' হিসেবে দেখছেন সাংবাদিক হোসে রেভেলেস৷ তিনি বলেন, সহিংসতা ও দয়াশীলতা, দুটোই একই উদ্দেশ্য পূরণ করে৷ আর সেটা হচ্ছে, গোষ্ঠীগুলো যে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতে চায় সেখানে প্রভাব বিস্তার করা৷
এদিকে, ক্রাইসিস গ্রুপ সংস্থার কর্মকর্তা ফালকো এয়ার্নস্ট ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘মেক্সিকোতে এখন মারাত্মক মানবিক সংকট চলছে৷ এই অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে মাদক পাচারকারী গোষ্ঠীগুলো তাদের সামাজিক ভিত্তি শক্তিশালী করতে চাইছে৷'' এক্ষেত্রে খাবার বিতরণ একটি কার্যকর উপায় বলে মনে করেন তিনি৷
এয়ার্নস্ট বলেন, মাদক পাচারকারী গোষ্ঠীগুলো মেক্সিকোর সমাজকল্যাণ কর্মসূচির দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে৷
প্রায় দেড় যুগ ধরে মেক্সিকোতে মাদক যুদ্ধ চলছে৷ গত মার্চ মাসে দুই হাজার ৫৮৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন- যা এক মাসে সর্বোচ্চ৷
সান্দ্রা ভাইস/জেডএইচ