ত্বক ফর্সার লোশন নিয়ে ফেসবুকে বিতর্ক
১৯ জুলাই ২০১০ভেসলিনের এপ্লিকেশনটির কাজ হচ্ছে পুরুষের ছবি ডাউনলোড করা৷ আর সেটির মাঝখান দিয়ে একটি লাইন টেনে দেখানো, কতটা ফর্সা হতে পারে সেই পুরুষটি৷ অবশ্যই এই ফর্সাটা করা হয় ডিজিটাল উপায়ে৷ আর বিজ্ঞাপনটা হচ্ছে ভেসলিন হোয়াইটেনিং বডি লোশনের৷
ইতিমধ্যেই এই ফর্সা করার চর্চা নিয়ে শুরু হয়েছে ফেসবুক বিতর্ক৷ ভেসলিনের এপ্লিকেশনটির পাতায় জমা হচ্ছে একের পর এক মন্তব্য৷ একজন লিখেছেন, আমি যদি এটাকে একের নিচে রেট দিতে পারতাম তাহলে খুব আনন্দ হতো৷ ভারত বলেই এধরণের এপ্লিকেশন তৈরি সম্ভব হয়েছে৷
অবশ্য ইতিমধ্যেই ভেসলিন এই এপ্লিকেশন সম্পর্কে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে৷ সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ভারতীয় পুরুষরা এটি ব্যবহার করে ত্বক উজ্জ্বল করে৷'
ফেসবুক এপ্লিকেশন সম্পর্কে ভেসলিনের মন্তব্য হচ্ছে, ‘এটি ভারতের সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই তৈরি করা হয়েছে৷ এর উদ্দেশ্য হচ্ছে পুরুষদেরকে লোশনটির প্রতি আকৃষ্ট করা৷'
ভারতে অবশ্য রঙ ফর্সা করার ক্রিম বা লোশনের বিক্রি নতুন নয়৷ ৩০ বছর আগেই সেখানে চালু হয় মেয়েদের রঙ ফর্সা করার ক্রিম৷ এরপর বছর পাঁচেক আগে বলিউড তারকা শাহরুখ খানের হাত ধরে বাজারে আসে পুরুষদের জন্য এধরণের ক্রিম৷ এভাবে গত পাঁচ বছরে ভারতের বাজারে এসেছে ২৪০টি রঙ উজ্জ্বল করার ক্রিম৷
তবে, অভিভাবকদের অনেকে মনে করছেন, এসব ক্রিম আসলে সন্তানদের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে৷ এদেরই একজন ব্যাঙ্গালুরুর কুন্নাথ সন্তোষ৷ তিনি জানান, আমার ছেলে টিভিতে এক বিজ্ঞাপনে দেখে যে শাহরুখ খান রঙ ফর্সা করার ক্রিম ব্যবহার করছে৷ এরপর আমার ছেলেও নিজেকে ফর্সা করতে এই ক্রিম কিনে দিতে বলে৷ সন্তোষ বলেন, আমার ছেলে মনে করছিল তার রঙ ফর্সা নয়, তাই সে নোংরা৷ সন্তোষ এধরণের ফর্সা করার ক্রিমের প্রতিবাদে ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুলেছেন৷
তবে, অনেক ভারতীয় পুরুষ কিন্তু রঙ ফর্সা করার ক্রিম ব্যবহারের পক্ষে৷ যেমন, ২০ বছর বয়সী মনিত মালহোত্রা৷ তিনি ভ্যাসলিনের রঙ ফর্সা করার লোশন ব্যবহার করেন৷ একইসঙ্গে ফেসবুকে ভ্যাসলিনের এপ্লিকেশনটিও ব্যবহার করে দেখেছেন৷ তার মতে, এটি একটি ত্বকের যত্নে নেবার ক্রিম৷ এর বাইরে আর কিছু নয়৷
বলে রাখা ভাল, যেখানে এত আলোচনা মানে সেই ফেসবুক কিন্তু এই ব্যাপারে নীরব৷ কেননা, ভ্যাসলিনের এপ্লিকেশনটি তাদের তৈরি নয়৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম