তেজস্ক্রিয় বিকিরণ বন্ধে প্রয়োজন আরও এক মাস
৪ এপ্রিল ২০১১বিশ্বব্যাপী উদ্বিগ্নের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই বিস্ফোরিত পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি৷ টোকিও ইলেক্টিক পাওয়ার কোম্পানির এই কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ বন্ধ করতে, দিন রাত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷ ইতিমধ্যে গত শনিবার বিস্ফোরিত এই কেন্দ্রের দুই নম্বর রিঅ্যাকটরের ভেতরে এমন একটি ভাঙ্গনের অস্তিত্ব তাঁরা খুজে পেয়েছেন, যা থেকে তেজস্ক্রিয় উপাদান ছড়িয়ে যাচ্ছে সমুদ্রে৷ কর্মীরা সেখারকার সবগুলো রিঅ্যাকটরের মধ্যে বিশেষ উপাদান ছড়িয়ে দিচ্ছেন, যেগুলোর কাজ তেজস্ক্রিতা মোকাবিলা করা৷ কিন্তু কোন কিছুই যেন খুব কাজে আসছে না৷ তবুও সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, ক্ষতিকারক এই উপাদান নিঃসরণের মাত্রা সহনীয় মাত্রায় রাখার কাজ চললেও, পুরো মাত্রায় তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানো বন্ধ করতে আরও কমপক্ষে একমাস সময়ের প্রয়োজন৷
উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে, আজ ভিয়েনায়, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তাকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ বৈঠকে বসেছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সদস্য দেশগুলো৷ সেখানে মূলত পরমাণু শক্তি নিয়ে বলবৎ চুক্তির বিশ্লেষণের পাশাপাশি আগত কর্মকর্তারা তাঁদের নিজ নিজ দেশের পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা বিষয়ে কী কী করেছেন, তা তুলে ধরবেন৷
এদিকে, টোকিও থেকে প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে, ভূমিকম্প এবং সুনামির আঘাতে নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার চলমান কার্যক্রমে জাপানি এবং মার্কিন বাহিনীর সদস্যরা গত শনিবার আরও ৭০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন৷ সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি চলছে এই অভিযান৷ জাপানের জাতীয় পুলিশ সংস্থার হিসাবে এখনো সেখানে অন্তত ১৫ হাজার ৫৫২ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং ঐ প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ পর্যন্ত সেখানে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৮৭ জন৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ