তুর্কী জনগনের জন্যে জাওয়াহরির অডিও বার্তা
১৬ আগস্ট ২০১০রেকর্ড করা ঐ অডিও বার্তাটি সত্যিই আল-কায়েদার সেকেন্ড ইন কমান্ড, আইমান আল-জাওয়াহরির কিনা তা নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি৷ বার্তায় বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের ওপর ক্রমাগতভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে যারা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছে তুরস্ক সরকার৷ তুর্কী সরকারকে থামানোর দায়িত্ব তুর্কী জনগনকে নিতে হবে৷ ইন্টারনেটে পোস্ট করা এই অডিও বার্তার নাম দেয়া হয়েছে ''তুরস্কের জনগনের জন্যে একটি বার্তা''৷ অডিও বার্তায় কথা বলা হয়েছে, আরবি ভাষায়৷ বার্তায় আরো বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে মুসলমানদের যারা হত্যা করছে, তাদেরকে সহায়তা করছে তুরস্ক সরকার৷ আর তা বন্ধ করতে হবে তুর্কী জনগনকে৷
২০০৮ সালের ডিসেম্বরে গাজায় হামলার জন্য তুর্কী প্রধানমন্ত্রী তায়িপ এর্দোয়ান ইসরায়েলের নিন্দা করার পর, ইসরায়েল-তুরস্ক সম্পর্কের একধাপ অবনতি ঘটে৷ তবে এই দু'দেশের সম্পর্কের আরো একধাপ অবনতি ঘটে, যখন চলতি বছরের মে মাসে গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজে ইসরায়েলি হামলায় নয়জন তুর্কী প্রাণ হারান৷
জাওয়াহরি তাঁর বার্তায় আরো বলেন,''তুর্কী জনগন যদি সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে, আফগানিস্তানে মুসলিম ভাইদের হত্যা করার জন্য সৈন্য দিয়ে সহায়তা করা তুরস্ক বন্ধ করে এবং ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াই বন্ধ করে, তবে এমনিতেই সবকিছুর পরিবর্তন ঘটবে৷'' কুড়ি মিনিটের এই বার্তায় জাওয়াহরি বলেন, ''অটোমান সাম্রাজ্যের সময় ইসলামকে রক্ষা বিশেষ করে ফিলিস্তিনকে রক্ষায় যে ভূমিকা তুরস্কের ছিল, তুর্কী জনগনের তা ফিরিয়ে নিয়ে আসা উচিত৷''
তালেবান সেকেন্ড ইন কমান্ড তুর্কী জনগনের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, ''ইহুদিদের অপরাধ নিয়ে তুরস্ক সরকার বিবৃতি দিয়েছে৷ কিন্তু আফগানিস্তানে মুসলমান এবং মুজাহিদিনের বিরুদ্ধে একই ধরনের অপরাধ করছে তুরস্ক৷'' জাওয়াহরি বলেন, তুরস্কের সরকার এবং সেনাবাহিনী যে অপরাধ করছে, প্রতিটি গর্বিত তুর্কী মুসলমানেরই উচিৎ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদি হওয়া৷
এদিকে, আফগানিস্তানে ন্যাটো বাহিনীর হামলায় আল-কায়েদার একজন কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে৷ ঐ ব্যক্তির নাম আবু বাকির এবং তিনি আল-কায়েদার উপ-কমান্ডার ও ছিলেন বলে জানিয়েছে ন্যাটো৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ