‘তুর্কিদের গায়ে হাত তুললে পরিণাম ভালো হয় না’
৩০ জানুয়ারি ২০১১৩১শে মে ২০১০৷ ইসরায়েলের অবরোধ ভেঙে গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দিতে উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল একঝাঁক জাহাজ৷ তাদের মধ্যে একটির নাম ‘মাভি মার্মারা'৷ আচমকা ইসরায়েলি কমান্ডোরা সেই জাহাজে ঢুকে পড়ায় শুরু হল সংঘর্ষ৷ নিহতদের মধ্যে ৯ জনই তুর্কি নাগরিক৷ গোটা বিশ্বে তুমুল সমালোচনার ঝড় উঠলো৷ ইসরায়েল ও তুরস্কের সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি ঘটলো৷
তুরস্ক সেই অধ্যায় ভুলে যায় নি৷ সরাসরি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে পারলেও ‘মাভি মার্মারা'র উপর হামলার ঘটনা এবার রূপালি পর্দায় ফুটিয়ে তোলা হলো এক পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে৷ নাম ‘নেকড়েদের উপত্যকা – প্যালেস্টাইন'৷ খলনায়ক এক ইসরায়েলি সামরিক অফিসার৷ তাকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে আসরে নামলেন নায়ক পোলাট, যিনি এক তুর্কি এজেন্ট৷ ইসরায়েলে গিয়ে সেই কাজে সফল হয়ে বীরের মতো দেশে ফিরলেন তিনি৷
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পর্দায় ক্ষোভ দেখানোর ঘটনা তুরস্কে এই প্রথম নয়৷ ‘নেকড়েদের উপত্যকা' নামের এক টেলিভিশন সিরিজও বহুদিন চলেছিল৷ তারও নায়কের নাম পোলাট৷ একটি অধ্যায়ে তিনি এক ইসরায়েলি দূতাবাসে ঢুকে এক তুর্কি কিশোরকে উদ্ধার করেছিলেন, যাকে নাকি ইসরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ অপহরণ করেছিল৷
বলাই বাহুল্য এই ছবিটি নিয়েও তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে৷ ইসরায়েল এই ছবির মধ্যে এক সার্বিক ইহুদি-বিদ্বেষের প্রবণতা দেখতে পাচ্ছে৷ আরব বিশ্বে ছবিটি বিপুল সাফল্য পাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ কিন্তু এর ফলে তুরস্কের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কের উন্নতির সম্ভাবনার ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: জাহিদুল হক