1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুর্কি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের আশ্রয় দিল জার্মানি

৯ মে ২০১৭

জার্মানির কয়েকটি গণমাধ্যম বলছে, দেশটিতে থাকা ন্যাটোর বিভিন্ন ঘাঁটিতে কর্মরত তুরস্কের সামরিক বাহিনীর সদস্য ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/2ce7w
Sprachkenntnis bei Ehegattennachzug Symbolbild deutsch-türkische Ehe
ছবি: Sean Gallup/Getty Images

জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বলেও গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে৷

জার্মানির দুটি রাজ্যের সরকারি প্রচারমাধ্যম ডাব্লিউডিআর ও এনডিআর এবং দৈনিক স্যুডডয়চে সাইটুং পত্রিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলছে, তুর্কি সেনাসদস্য, কূটনীতিক, বিচারক ও সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ৪১৪টি আশ্রয়ের আবেদন এসেছে৷ এই সংখ্যার মধ্যে পরিবারের সদস্যরাও আছেন৷ ৪১৪ জনের মধ্যে ২৬২ জন আবেদনকারীর কূটনীতিক পাসপোর্ট বলেও জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ তবে আবেদনগুলোর মধ্যে কতগুলো সামরিক বাহিনীর সদস্যদের, সেটি নির্দিষ্ট করে বলেনি মন্ত্রণালয়৷

আবেদনগুলোর মধ্যে কতগুলো গ্রহণ করা হয়েছে, সেটি প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়নি৷ তাছাড়া আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়াকরণ করে যে সরকারি সংস্থা, সেই ‘ফেডারেল অফিস ফর মাইগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজিস' বা বিএএমএফ-এরও সরাসরি কোনো মন্তব্য নেই সেখানে৷

তবে সংস্থাটির বিভিন্ন সূত্র উল্লেখ করে বিভিন্ন গণমাধ্যম বেশ কয়েকটি আশ্রয় আবেদন অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে৷

গণমাধ্যমের তথ্য সত্য হলে বিষয়টি তুর্কি-জার্মান সম্পর্ককে আরও সংকটে ফেলতে পারে, কারণ, গত জানুয়ারিতে তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফিকরি ইসিক তুর্কি কর্মকর্তাদের আশ্রয়ের আবেদন অনুমোদন না করতে জার্মানির প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ তুর্কি সরকার মনে করে, এই কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ফেতুল্লাহ গ্যুলেনের সমর্থক এবং তাঁরা গত বছরের জুলাইতে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন৷ উল্লেখ্য, এই ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পেছনে গ্যুলেনকে দায়ী করে তুর্কি সরকার৷ তবে গ্যুলেন ও তাঁর সমর্থকরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷

ঐ ঘটনার পর তুর্কি সরকার হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করেছে৷ শুধু গত সপ্তাহেই একশ' জন বিচারক ও আইনজীবীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে৷ তার আগের সপ্তাহান্তে প্রায় চার হাজার জনকে চাকরি থেকে অব্যহতি দেয়া হয়৷ এর আগে এপ্রিলের ২৬ তারিখ প্রায় নয় হাজার একশ' জন পুলিশকে বরখাস্ত করা হয়৷

তুর্কি-জার্মান সংকট

গত মাসে তুরস্কে অনুষ্ঠিত গণভোটের আগে দুই দেশের সম্পর্কে সংকট শুরু হয়৷ ঐ গণভোট নিয়ে জার্মানিতে বসবাসরত তুর্কিদের মধ্যে প্রচারণা চালাতে তুর্কি মন্ত্রীদের জার্মানি সফর নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছিল৷ এরপর জার্মান-তুর্কি সাংবাদিক ডেনিস ইউচেলকে সন্ত্রাসের অভিযোগে তুরস্কে গ্রেপ্তারের বিষয়টিরও সমালোচনা করে জার্মানি৷ ইউচেল জার্মানির দৈনিক ‘ডি ভেল্ট'-এ কর্মরত ছিলেন৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেন, ইউচেলের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হচ্ছে তা ‘সাংবিধানিক রাষ্ট্রের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়৷'

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ, কেএনএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান