তুর্কি পার্লামেন্টে হিজাবে নারী
৪ নভেম্বর ২০১৩তুরস্কে দীর্ঘ সময় ধরে সরকারি প্রতিষ্ঠানে নারীদের হিজাব পরার উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল৷ কেননা, আগের সব সরকারই ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলে নারীদের হিজাব করা বা পরার অনুমোদন করেনি৷
কিন্তু গত ৩০ সেপ্টেম্বর এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান৷ গণতান্ত্রিক সংস্কার আর নারী স্বাধীনতার অংশ হিসেবে গত এই ঘোষণা দেন তিনি৷
এর্দোয়ানের দল জানায়, নাগরিক অধিকারের অংশ হিসেবেই এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে, কেননা এর আগে মুসলিম নারীরা নিজেদের আস্থা ও বিশ্বাস জনসমক্ষে প্রকাশ করতে দ্বিধা বোধ করত৷ তবে এখনও বিচারপতি, আইনজীবী, পুলিশ ও সেনাবাহিনীতে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে৷
বৃহস্পতিবার চার নারী সংসদ সদস্য যখন হিজার পরে পার্লামেন্ট কক্ষে প্রবেশ করেন, তখন প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ানের ‘জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি'-র অন্য সদস্যরা তাঁদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান৷ নারীদের একজন নুরকান ডালবুডাক রয়টার্সকে জানিয়েছেন, একটি নতুন যুগের শুরু হলো, যার নেতুত্ব দিলেন তাঁরা৷ এমনকি এ ঘটনার সাক্ষীও থাকলেন৷
অপর এক নারী সদস্য গোনুল বেকিন সাকুলুবে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান যে, তাঁরা হজ করে এসে স্কার্ফ পরা শুরু করেছেন৷ আর এখন থেকে কখনোই এটা খুলে ফেলার প্রয়োজন পরবে না বলে মনে করেন তিনি৷ তাঁর বিশ্বাস, সবাই তাঁর এই পদক্ষেপের প্রতি সম্মান করবেন৷
উল্লেখ্য এর আগে, বিরোধী দল ‘রিপাবলিকান পিপলস পার্টি'-র সদস্যরা হিজাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও সেদিন তাঁরা কোনো মন্তব্য করেননি৷
১৯৯৯ সালে তুর্কি-মার্কিন সংসদ সদস্য মার্ভে কাভাচি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হিজাব পরে এলে তাঁকে তাতে অংশ নিতে দেয়া হয়নি৷ তাঁকে পার্লামেন্ট থেকে কেবল বেরই করে দেয়া হয়নি, তুরস্কের নাগরিকত্বও বাতিল করে দেয়া হয়েছিল৷
এপিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)