বাংলাদেশিদের দেশে পাঠানো হবে
৫ এপ্রিল ২০১৬গ্রিসের অভিবাসন বিষয়ক মুখপাত্র ইয়োর্গোস কিরিটসিস বাংলাদেশিদের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷
তুরস্কের ইইউ বিষয়ক মন্ত্রী ভলকান বোজকির একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে জানিয়েছেন, গ্রিস থেকে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে যারা সিরীয় নন, তাদের প্রথমে কিরক্লারেলি নামক এক স্থানে কিছু দিনের জন্য রাখা হবে৷ তারপর তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে৷ সেক্ষেত্রে তারা যেসব দেশের নাগরিক তাদের সহায়তা চাওয়া হবে৷
বিতর্কিত ইইউ-তুরস্ক চুক্তির আওতায় ২০ মার্চের পর যারা তুরস্ক থেকে গ্রিসে পৌঁছাবেন, তাদের আবার তুরস্কে পাঠিয়ে দেয়া হবে৷ তবে যারা গ্রিসে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করবেন তাদের আবেদন বিবেচনা করা পর্যন্ত গ্রিসেই থাকতে দেয়া হবে৷ এছাড়া তুরস্ক গ্রিস থেকে যতজন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফেরত নেবে ঠিক ততজন সিরীয়কে তুরস্ক থেকে ইউরোপে নিয়ে আসা হবে৷ তবে সর্বোচ্চ সংখ্যাটি হবে ৭২,০০০ জন৷
গ্রিস থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বুধবার তুরস্ক পাঠানো হবে৷
এদিকে, চুক্তির আওতায় ৪৩ জন সিরীয়কে সোমবার ইউরোপে নিয়ে আসা হয়েছে৷ এর মধ্যে ৩২ জন এসেছে জার্মানিতে৷ বাকি ১১ জনকে ফিনল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে৷ মঙ্গলবার আরও কয়েকজন সিরীয় নেদারল্যান্ডসে পৌঁছবেন৷
সংখ্যা কমেছে?
ইইউ-তুরস্ক চুক্তির উদ্দেশ্য, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তুরস্ক থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে গ্রিসে পৌঁছানোর চেষ্টা থেকে বিরত থাকা৷ এই উদ্দেশ্যটা সফল হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এফকান আলা৷ গত ১০ দিনে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ জন করে মানুষ সাগর পাড়ি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি৷ সংখ্যাটি আগের চেয়ে অনেক কম বলে জানান তিনি৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)
বাংলাদেশি শরণার্থীদের এভাবে দেশে পাঠিয়ে দেয়া আপনি কি সমর্থন করেন? জানান মন্তব্যের ঘরে৷