1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্কে ডয়চে ভেলের সাংবাদিকের কারাদণ্ড

৯ জানুয়ারি ২০১৯

ডয়চে ভেলের সাংবাদিক পেলিন উনকারকে কারাদণ্ড দিয়েছে তুরস্কের একটি আদালত৷ তুরস্কের একটি সংবাদপত্রে ‘প্যারাডাইস পেপার' সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3BEdM
Pelin Ünker  - türkische Wirtschaftjournalistin aus Cumhuriyet Zeitung
ছবি: Privat

মঙ্গলবার ইস্তাম্বুলের একটি আদালত পেলিনকে ১৩ মাস ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয়৷ পাশাপাশি ১,৩৭০ ইউরো জরিমানাও করা হয়৷ সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অপমানজনক এবং অপবাদমূলক তথ্য প্রকাশের অভিযোগে এ কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিচারক৷

তুরস্কের বামপন্থি মতাদর্শের সংবাদপত্র জুমহরিয়েতে ঐ প্রতিবেদনটি ছাপা হয়েছিল৷ তবে পেলিন বর্তমানে সেখানে কাজ করছেন না৷ ‘পানামা পেপারস' কেলেঙ্কারির সূত্র ধরেই তুরস্কের রাজনীতিবিদ, তারকা এবং বিভিন্ন কোম্পানির সম্পদ ও দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করেছিলেন তিনি৷

তুরস্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর দুই ছেলে ২০১৭ সালের নভেম্বরে পেলিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন৷ পেলিন তাঁর রিপোর্টে লিখেছিলেন, বিনালি'র ছেলেরা মাল্টার ৫ টি কোম্পানির সঙ্গে অবৈধ ব্যবসা করে সম্পদ গড়ে তুলেছে৷

পেলিনকে এখনো কারাগারে প্রেরণ করা হয়নি৷ তাঁর আপিলের সুযোগ রয়েছে৷ ডয়চে ভেলেকে পেলিন জানিয়েছেন, তিনি আপিল করবেন, তবে তাঁর ধারণা কারাভোগ করতে হবে তাঁকে৷ তিনি বলেন, ‘‘এ ধরনের বিচার যে হবে তা প্রত্যাশিত ছিল৷ তাই আমার সবসময়ই মনে হয়েছে এর বিরুদ্ধে আপিল করে কোনো ফল হবে না৷ এখানে সাংবাদিকতাকেই শাস্তির আওতায় আনা হয়৷ এটা এখন এখানকার প্রতিটি সাংবাদিকের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে৷ তাই আদালত প্রাঙ্গণে আমার মতো অনেক সাংবাদিকের দেখা পাবেন আপনি৷''

ডয়চে ভেলের মুখপাত্র ক্রিস্টোফ ইয়ুমপেল্ট বলেন, ‘‘তুরস্কে একের পর এক এ ধরণের ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে, সেখানে গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে৷''

বিনালি ইলদিরিম বর্তমানে তুরস্ক পার্লামেন্টের স্পিকার এবং আগামীতে তিনি ইস্তান্বুলের মেয়র পদে লড়বেন বলে জানা গেছে৷

এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, ডিপিএ) 

‘‘বাকস্বাধীনতার প্রসঙ্গটি নানাভাবে আসে’’