তুরস্কে ইলকারের ‘ড্র্যাগ’ জীবন
তুরস্কের ২৩ বছর বয়সি ইলকার ইয়াজিচি মাধ্যমিক স্কুলে পড়ার সময় অনুভব করেন তিনি সমকামী৷ এখন কেমন কাটছে তার জীবন?
প্রথম অনুভব
মাধ্যমিক স্কুলে পড়ার সময় ইলকার ইয়াজিচি প্রথম অনুভব করেন তিনি সমকামী৷ সেখানে তিনি এলজিবিটি গ্রুপের সঙ্গে মিলিত হন৷ তাদের সঙ্গে মিলে আঙ্কারার রাস্তায় এলজিবিটিদের অধিকার রক্ষায় রংধনু পতাকা নিয়ে বিক্ষোভেও অংশ নিয়েছেন৷ ইলকার বলেন, ‘‘প্রথমে আমি নিজের সঙ্গে অনেক লড়েছি৷ এই অবস্থা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে বেড়ে ওঠাটা সহজ নয়৷ আমার মনে হয়েছিল আমি একাই এরকম, বেশিরভাগ এলজিবিটিরই এমনটা মনে হয়৷’’
‘ড্র্যাগ একটা রাজনৈতিক কাজ’
ইলকারের বয়স এখন ২৩৷ এখন তিনি ইস্তাম্বুলের একটি ক্লাবে নিয়মিত ড্র্যাগ পারফর্ম করছেন৷ নেটফ্লিক্সের ‘রুপলস ড্র্যাগ রেস’ সিরিজ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন ইলকার৷ তিনি এখন ড্র্যাগ পারফর্মেন্সকে বিনোদনের চেয়েও নিজের অনুভূতি প্রকাশের অংশ হিসেবে দেখেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ড্র্যাগ একটা রাজনৈতিক কাজ৷ দর্শক হয়ত আমার দিকে তাকিয়ে ভাবে, ‘পাগলটা কী করছে?’ আমি তাদের এমন কিছু দেখাচ্ছি যেটা তারা সাধারণত দেখে অভ্যস্ত নয়৷’’
সমকামীদের ভয়
তুরস্কে অনেক সমকামী ভয়ের মধ্যে থাকেন৷ সে দেশে সমকামিতা অপরাধ না হলেও তাদের অনেক প্রতিকূলতার শিকার হতে হয়৷ গতবছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় এর্দোয়ান এলজিবিটি গ্রুপের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন৷
বাবা জানেন না
ইলকারের রক্ষণশীল বাবা তার ড্র্যাগ জীবন সম্পর্কে জানেন না৷ তবে তার কয়েকজন আত্মীয় তার ড্র্যাগ পারফর্মেন্স সম্পর্কে জানেন৷ কেউ এখনও তার বাবাকে এই বিষয়টি জানানোর সাহস পাননি৷
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
ইস্তাম্বুলের মারমারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা করছেন ইলকার৷ তবে ভবিষ্যতে স্পেনে পারফর্মিং আর্ট নিয়ে পড়াশোনার কথা ভাবছেন৷ ড্র্যাগ পারফর্মেন্স নিয়ে তার দুশ্চিন্তা না থাকলেও তুরস্কে থাকা নিয়ে তিনি চিন্তিত৷ ‘‘আমি জানি না এখানে ভবিষ্যতে আমার জন্য কী অপেক্ষা করছে৷ অনিশ্চিত একটা বিষয়’’ বলেন ইলকার৷
চাকরি
ইস্তাম্বুলের এক্সএল নাইট ক্লাবে প্রতি শুক্র ও শনিবার ড্র্যাগ পারফর্মেন্স করেন ইলকার৷ এটি তার চাকরি৷ এই কাজ শুরুর আগে রাশিয়ান ড্যান্সারদের কাছ থেকে একমাস প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি৷ পারফর্মেন্সের সময় ইলকার ‘মিস পুটকা’ চরিত্র ধারণ করেন৷ যোনির স্ল্যাং হিসেবে এই শব্দ ব্যবহৃত হয়ে থাকে৷