মার্কিন দূতাবাস কর্মী গ্রেপ্তার
১০ অক্টোবর ২০১৭কিছুদিন আগেই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ানের প্রশংসা করেছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে ব্যক্তিগত স্তরেও বেশ উষ্ণতা দেখা গিয়েছিল৷
কিন্তু সেই সখ্যতার জায়গায় একাধিক বিষয়কে কেন্দ্র করে এখন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে৷ সিরিয়ায় কুর্দি গোষ্ঠী ওয়াইপিজি-র প্রতি মার্কিন সমর্থন ও সহায়তার তীব্র বিরোধিতা করছে তুরস্ক৷ তার উপর অ্যামেরিকায় নির্বাসিত তুর্কি ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গ্যুলেন-কে প্রত্যর্পণের ডাকে সাড়া দিচ্ছে না মার্কিন প্রশাসন৷ তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে এর্দোয়ান তাঁর এই শত্রুকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর৷ এক মার্কিন আদালতে তুরস্কের প্রাক্তন অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী জাফের চালায়ানের বিরুদ্ধে ইরানের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ পারস্পরিক আস্থার এমন সংকটের মধ্যে শুরু হয়েছে নতুন এক কূটনৈতিক সংঘাত৷
গত সপ্তাহে ইস্তাম্বুলে মার্কিন কনস্যুলেটের এক তুর্কি কর্মীকে গ্যুলেনের সমর্থক হিসেবে গ্রেপ্তারের ফলে মার্কিন প্রশাসন অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছে৷ আংকারায় মার্কিন দূতাবাস এই পদক্ষেপের কড়া নিন্দা করে অবিলম্বে সাধারণ ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে৷ দূতাবাস জানিয়েছে, মার্কিন কূটনৈতিক মিশনগুলির কর্মীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তুরস্কের ভূমিকার মূল্যায়ন করা হচ্ছে৷ পালটা পদক্ষেপ হিসেবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অ্যামেরিকায় তুরস্কের কূটনৈতিক মিশনগুলিও ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে৷
সোমবার তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক মার্কিন কূটনীতিককে তলব করে আবার ভিসা দেবার প্রক্রিয়া চালু করার ডাক দিয়েছে৷ তুরস্কের বিচারমন্ত্রী আবদুলহামিত গুল বলেছেন, তুরস্কের আদালত তুরস্কেরই ভূখণ্ডে এক তুর্কি নাগরিকের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই পারে৷
এমন উত্তেজনার ফলে তুরস্কের অর্থনীতির উপর প্রভাব পড়ছে৷ তুর্কি লিরার বিনিময়মূল্য কিছুটা কমে গেছে৷ পূঁজিবাজারেও এর কুপ্রভাব পড়ছে৷ জার্মানি, তথা ইউরোপের পর এবার অ্যামেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে তুরস্কের অর্থনীতি৷
এসবি/এসিবি (এএফপি)