তিলোত্তমা কলকাতা সেজেছে উৎসবের নানা রঙে
বাঙালির অন্যতম প্রধান উৎসব দুর্গাপুজো, যাতে জাতি-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই যোগ দেন৷ তাই মহানগরীর সব পথ আজ প্যান্ডেলমুখী, রাস্তায় অসম্ভব ভিড়৷ তবে এর মধ্যেই একদিকে ধরা পড়ে বাংলার নিজস্ব ঐতিহ্য, অন্যদিকে তার সৃজনক্ষমতা৷
মনোরমা কিন্নর
সুসজ্জিত অর্ধনারীশ্বর মূর্তির পাশে গর্বিত ভঙ্গীতে পুজোর উদ্যোক্তাদের সভাপতি, রূপান্তরকামী শিল্পী মনোরমা কিন্নর৷
বৃহত্তম দুর্গামূর্তি
কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কে এই অতিকায় দুর্গাপ্রতিমা বিশ্বের বৃহত্তম হওযার দাবি রেখেছে৷ লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে ইতিমধ্যেই জায়গা পেয়েছে এই মূর্তি৷ তবে রবিবার, অর্থাৎ পঞ্চমীতেই ভিড়ের চোটে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দিতে হয় দেবী দর্শন৷
বিজ্ঞাপনী যুদ্ধ
এই বিরাট দুর্গাপ্রতিমা আরও একটি প্রবণতার জন্ম দিয়েছে এবার৷ পুজোর উদ্যোক্তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের দাবিতে বিজ্ঞাপনী যুদ্ধের, যা এতদিন কখনও দেখা যায়নি৷
শিল্পভাবনার প্রকাশ
তবে স্বস্তির কথা, আয়তনে নয়, পুজোর উত্কর্ষ এখনও যাচাই করা হয় তার শিল্পগুণ এবং সৃজনশীলতা দিয়ে৷
বাঙালিয়ানা
হাতে আঁকা সরা, তাল পাতা, কাঠের পুতুল দিয়ে বহুবর্ণে সজ্জিত এই পুজোমণ্ডপ মনে করিয়ে দেয়, দুর্গাপুজো আসলে বাঙালি ঐতিহ্যেরও উদযাপন৷
ভারতীয় কৃষ্টি
বাজেট বেশি থাকলে শিল্পভাবনা বাংলার গণ্ডি ছাড়িয়ে প্রসারিত হয় ভিনরাজ্যের লোকশিল্পের দিকেও৷ পরিচিত হওয়ার সুযোগ ঘটে নানা দেশজ, অথচ অচেনা শিল্পের সঙ্গে৷
বহুত্বের সংস্কৃতি
শহুরে মানচিত্রে কংক্রিটের বাড়িঘরের মধ্যে মাথা তুলে দাঁড়ায় রাজস্থানের কোনো দৃষ্টিনন্দন হাভেলি৷ ভারতের সাংস্কৃতিক বহুত্বকে স্বীকৃতি দেয় এই উত্সব৷
কল্পনার উড়ান
আর সাধ্য যদি না থাকে, কল্পনার পাখা মেলতে তো অসুবিধে নেই৷ সাধারণ রঙিন ছাতাই হয়ে উঠতে পারে উত্সবের সজ্জা৷ সে বর্ণময়তাও উত্সবেরই অঙ্গ৷