1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তিন মাসে টিকা পাসপোর্ট চালু করতে চায় ইইউ

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম যে খুব দ্রুত শেষ হচ্ছে না, তেমনটা ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিতে চান ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা৷ এমন পরিস্থিতি সত্ত্বেও জনজীবন কীভাবে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখা যায়, সে দিকেই নজর দিতে চান তারা৷

https://p.dw.com/p/3pwvo
ইইউ শীর্ষ সম্মেলন
ইইউ শীর্ষ সম্মেলনছবি: Olivier Hoslet/AP Photo/picture alliance

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল মনে করছেন, চলতি বছর ইউরোপের বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ টিকা পেয়ে গেলেও করোনা ভাইরাসের এক বা একাধিক সংস্করণ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে৷ তখন আবার নতুন করে টিকা নিতে হবে৷ আগামী কয়েক বছর ধরে এমন লড়াইয়ের আশঙ্কা করছেন তিনি৷ ফলে টিকা আবিষ্কার, উৎপাদন, বণ্টন এবং নথিকরণের অবকাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে বলে তিনি মনে করেন৷ তবে সব মিলিয়ে ম্যার্কেল আশাবাদী৷ বৃহস্পতিবার ইইউ নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের পর তিনি এ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন৷

ইইউ আপাতত কয়েক মাসের মধ্যে করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট প্রস্তুত করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে৷ গ্রীষ্মকালে ছুটির মরসুমের আগেই সেই ‘ডিজিটাল গ্রিন পাসপোর্ট’ প্রস্তুত করে যতটা সম্ভব পর্যটনের সুযোগ করে দিতে চান তারা৷ অর্থাৎ ইইউ দেশগুলির যে সব মানুষ টিকার সব ডোজ পেয়েছেন, তাঁদের আলাদা করে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে৷ কিন্তু টিকা পেলেই যে অন্যদের সংক্রমণের আশঙ্কা দূর হবে, সব ক্ষেত্রে এখনো এমন প্রমাণ না পাওয়ায় সেই সার্টিফিকেটের উপযোগিতা নিয়ে মতভেদ রয়েছে৷ ফলে প্রত্যেক দেশ এ ক্ষেত্রে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেবে৷ ইউরোপের দক্ষিণের দেশগুলি বিপর্যস্ত পর্যটন ক্ষেত্রকে চাঙ্গা করতে উদার নীতি গ্রহণ করবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ একাধিক দেশ সেই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে৷

প্রথম কয়েক মাসের ধীর গতির পর ইইউ দেশগুলিতে টিকাদান কর্মসূচি অবশেষে আরও দ্রুত ঘটবে বলে ইইউ নেতারা আশা প্রকাশ করেন৷ এখনো পর্যন্ত মাত্র ছয় শতাংশ মানুষ টিকার একটি করে ডোজ পেয়েছেন৷ আগামী সপ্তাহান্তে ছয় কোটি টিকা হাতে পেতে চলেছে ইইউ৷ জুন মাসের মধ্যে সব মিলিয়ে ৬০ কোটি টিকা এসে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ তবে যতদিন না বেশিরভাগ মানুষ টিকা পেয়ে যাচ্ছেন, ততদিন একাধিক বাধানিষেধ চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন ইইউ নেতারা৷ বিশেষ করে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আপাতত তুলে নেওয়া হচ্ছে না৷ সেইসঙ্গে করোনা ভাইরাসের আরো ছোঁয়াচে সংস্করণগুলি দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে৷ ইইউ সরকার পরিষদের প্রধান শার্ল মিশেল বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে এ বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে৷

মোটকথা বর্তমান অনিশ্চয়তার মাঝে বিশেষ কোনো আশ্বাস দিতে পারছেন না ইইউ নেতারা৷ দৈনিক সংক্রমণের হার যতটা সম্ভব কম রাখতে না পারলে যাবতীয় পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যেতে পারে৷ জার্মানিসহ একাধিক দেশ একতরফাভাবে সীমান্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ইইউ কমিশন ক্ষোভ প্রকাশ করেছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)