তিন বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের শিক্ষার মানের চিত্র

ইউএনডিপি ও মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম নলেজ ফাউন্ডেশনের ২০২৪ সালের বৈশ্বিক জ্ঞান সূচকে ১৪১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৩তম৷ সাতটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এটি তৈরি করা হয়েছে৷ প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, প্রযুক্তিগত ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, অর্থনীতি এবং সাধারণ সক্ষমতার পরিবেশ৷

বৈশ্বিক জ্ঞান সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে পাকিস্তান (১২০)৷ আর দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে আছে ভারত (৯২)৷ এরপরে আছে শ্রীলঙ্কা (৯৩), ভুটান (৯৪) ও নেপাল (১১২)৷

জাতিসংঘের সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গ্যানাইজেশনের’ প্রকাশিত ২০২৪ সালের বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচকে ১৩৩ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৬ নম্বরে৷

সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ভারত (৩৯)৷ এরপর আছে শ্রীলঙ্কা (৮৯), পাকিস্তান (৯১) ও নেপাল (১০৯)৷ অর্থাৎ এই অঞ্চলে এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে৷

ফ্রান্সভিত্তিক বিজনেস স্কুল ‘ইনসিয়েড’ এর প্রকাশ করা ‘গ্লোবাল ট্যালেন্ট কম্পিটিটিভনেস ইনডেক্স ২০২৩’ সূচকে ১৩৪ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৩ নম্বরে৷ মেধা অর্জনের সক্ষমতা, আগ্রহ, বিকাশ, ধরে রাখা, বৃত্তিমূলক, কারিগরি দক্ষতা ও বৈশ্বিক জ্ঞান- এই সাতটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সূচকটি তৈরি করা হয়েছে৷

প্রতিভা সূচকেও দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে৷ এই অঞ্চলে শীর্ষে আছে শ্রীলঙ্কা (৯০)৷ এর পরে আছে ভারত (১০৩), নেপাল (১০৭) ও পাকিস্তান (১০৯) ৷

ইউনেস্কো ইনস্টিটিউট ফর স্ট্যাটিস্টিকসের হিসেব বলছে, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় শিক্ষাখাতে সবচেয়ে কম বাজেট বরাদ্দ করা হয়৷ ১৯৭১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে৷ ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় শিক্ষাখাতে জিডিপির মাত্র ১.৮ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়েছিল৷ একটি দেশের জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করা উচিত বলে মনে করে ইউনেস্কো৷