তিন বছর বয়স থেকেই মঙ্গলে যাওয়ার ইচ্ছা তার!
৪ ডিসেম্বর ২০১৪বয়স যখন তার তিন, তখন একদিন সে বাবার সঙ্গে ‘দ্য ব্যাকইয়ার্ডিগানস' কার্টুন দেখছিল৷ সেখানকার কার্টুন চরিত্রগুলোকে মঙ্গলগ্রহে যেতে দেখে মহাকাশ ভ্রমণ সম্পর্কে বাবার কাছে জানতে চায় অ্যালিসা৷ বাবা তখন তাকে জানায়, মানুষ এখন পর্যন্ত চাঁদে যেতে পেরেছে৷ আর মঙ্গলগ্রহে হয়ত যেতে পারবে তার, অর্থাৎ অ্যালিসার প্রজন্মের কেউ৷
তখন থেকেই মঙ্গলে যাওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করে ছোট্ট অ্যালিসা৷ সে লক্ষ্যে নাসা-র বিভিন্ন ক্যাম্পে যাওয়া আসা করছে সে৷ ইতিমধ্যে ৮ বছর বয়সের সময় সে একটি স্পেস ক্যাম্পে অংশ নিয়ে ‘রাইট স্টাফ' অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়৷ এর ফলে ছোট্টবেলার সেই স্বপ্ন পূরণের ইচ্ছাটা আরও বেড়ে যায়৷
চলতি বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে নাসা-র তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে একই প্যানেলে আলোচক হিসেবে অংশ নিয়েছে সে৷ এছাড়া নভোচারীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করে থাকে সে৷
অ্যালিসা মনে করে, পৃথিবীর পর মঙ্গলগ্রহই মানুষের বসবাসের জন্য নিরাপদ৷
এদিকে, মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠাতে কাজ করে যাচ্ছে নাসা৷ তার প্রথম ধাপ হিসেবে ‘ওরিয়ন' নামে একটি মহাকাশযানের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন হবে বৃহস্পতিবার৷ সেই অনুষ্ঠানে অ্যালিসা ও তার বাবাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নাসা৷
মঙ্গল অভিযানে যেতে ওরিয়ন যানকে বহন করবে যে রকেট সেটা তৈরি হতে ২০১৮ সাল লেগে যাবে৷ এরপর ওরিয়নকে সঙ্গে নিয়ে রকেটটি পরীক্ষামূলক উড্ডয়নে যাবে ২০২১ সাল নাগাদ৷ তারপর আসবে মানুষ নিয়ে যাত্রার পরিকল্পনা৷ অর্থাৎ এখনো অনেক সময় আছে৷ ততদিনে অ্যালিসা প্রাপ্তবয়স্ক নভোচারী হয়ে উঠবে৷ এবং সে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে যাওয়া মহাকাশযানের প্রথম যাত্রার অংশ হতে চায়৷
অ্যালিসা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার একটি স্কুলের অষ্টম গ্রেডের শিক্ষার্থী৷ সেখানে সে তার বিষয়গুলো চারটি বিভিন্ন ভাষায় পড়ে৷
জেডএইচ/ডিজি (ডিপিএ)