তিন বছর পর প্রাসাদ ব্যালকনিতে জাপানের রাজপরিবার
শেষবার জনগণকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে জাপানের রাজপরিবার প্রাসাদের ব্যালকনিতে হাজির হয়েছিলেন ২০২০ সালে৷
আবার ব্যালকনিতে রাজপরিবার
নতুন বছরে সম্রাট ও তার পরিবারকে দেখতে রাজপ্রাসাদের সামনে জড়ো হন জাপানের জনগণ৷ কিন্তু করোনা মহামারিতে নানা বিধিনিষেধের মধ্যে গত দুই বছর বাতিল হয় এই আয়োজন৷ ২০২১ এবং ২০২২ সালের শুভেচ্ছা সম্রাট জানিয়েছেন ভিডিও বার্তার মাধ্যমে৷ দুই বছর পর আবার মুখোমুকি শুভেচ্ছা বিনিময় করার সুযোগ পেয়ে জনগণের পাশাপাশি খুশী রাজপরিবারের সদস্যরাও৷
সম্রাট নারুহিতোর শুভেচ্ছা
নতুন বছরে জনগণকে শুভেচ্ছা জানাতে ২ জানুয়ারি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রাসাদের ব্যালকনিতে হাজির হন সম্রাট নারুহিতো৷ প্রাসাদের সামনে জাপানের পতাকা নিয়ে হাজির হওয়া জনগণের উদ্দ্যেশ্য়ে তিনি বলেন, ‘‘করোনা ভাইরাস আমাদের সবার জীবনেই দুঃখ বয়ে এনেছিল৷ কিন্তু আমি আপনাদের আবার শুভেচ্ছা জানাতে পেরে খুশী৷’’ সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে ছিলেন সম্রাজ্ঞী মাসাকো৷
সাবেক সম্রাট-সম্রাজ্ঞীও ছিলেন
৩০ বছর শাসনের পর বর্তমান সম্রাট নারুহিতোর বাবা আকিহিতো ৮৫ বছর বয়সে সিংহাসন ত্যাগ করেন ২০১৯ সালে৷ প্রোস্টেট ক্যান্সার, হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচারসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি৷ তবে করোনার পর প্রথম নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ে প্রাসাদ ব্যালকনিতে উপস্থিত ছিলেন আকিহিতো এবং তার স্ত্রী সাবেক সম্রাজ্ঞী মিচিকোও৷
প্রথমবারের মতো রাজকন্যা আইকো
এবারই প্রথম রাজকন্যা আইকো জনগণকে শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হয়েছিলেন৷ তার সঙ্গে সম্রাটের অন্য ছেলে মেয়েরাও ছিলেন৷ যুবরাজ ফুমিহিতো, রাজকন্যা কিকো, রাজকন্যা ইউরিকো, রাজকন্যা নোবুকোও শুভেচ্ছা জানান জনগণকে৷
কড়া নিরাপত্তা
ব্যালকনিতে রাজপরিবারের সদস্যরা হাজির হলেও পুরো ব্যালকনিই ঢাকা ছিল বুলেটপ্রুফ কাচ দিয়ে৷ ২০২০ সালে প্রায় ৭০ হাজার মানুষকে রাজপ্রাসাদের সামনে হাজির হওয়ার সুযোগ দেয়া হলেও এবার লটারির মাধ্যমে কেবল দেড় হাজার মানুষকে সে সুযোগ দেয়া হয়েছে৷