তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র: কারজাই
১৮ জুন ২০১১সে লক্ষ্যে গত দশ বছর ধরে যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলো যুক্তরাষ্ট্র, সেই তালেবানের সঙ্গেই শান্তি আলোচনা শুরু করেছে দেশটি, বললেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই৷
আলোচনা নতুন নয়
তালবানের সঙ্গে আলোচনা করতে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই গত বছরই একটি কমিটি গঠন করেছিলেন৷ আর যুক্তরাষ্ট্রও যে তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করছে সেটা কূটনীতিকরা আগেই জানিয়েছিলেন৷ তবে তাদের কথা ছিল, আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে৷ কিন্তু কারজাই আজ যেটা বললেন তাতে মনে হচ্ছে, আলোচনা বেশ ভালভাবেই এগোচ্ছে৷ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কারজাইয়ের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি৷
তালেবানের প্রতিক্রিয়া
ঠিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি৷ তবে এক ধরণের প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে৷ কারজাইয়ের বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরেই কাবুলের কেন্দ্রস্থলের একটি পুলিশ স্টেশনে হামলা করেছে চার তালেবান জঙ্গি৷ এতে মোট নয়জন মারা গেছে৷ যার মধ্যে তিনজন পুলিশ ও একজন গোয়েন্দা রয়েছেন৷
জাতিসংঘের প্রচেষ্টা
জাতিসংঘের চেষ্টার পেছনেও অনেকখানি হাত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের৷ এর ফলে এখন থেকে আল-কায়েদা আর তালেবানকে আলাদা করে দেখবে জাতিসংঘ৷ এই সিদ্ধান্ত তালেবানের জন্য একটা পরিষ্কার বার্তা, বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে মার্কিন দূত সুজান রাইস৷ তিনি বলেন, এর ফলে যেসব তালেবান জঙ্গি আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে, সন্ত্রাসের নিন্দা জানাবে এবং আফগানিস্তানের সংবিধানকে মেনে নেবে তাদের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করবে৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের দৃষ্টিতে এই ‘উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ' হচ্ছে সমাজে তাদের একাত্ম করে নেয়া৷
কেন আলোচনা?
কারণ অভ্যন্তরীণ চাপ৷ কেননা যে লক্ষ্যে দশ বছর আগে যুদ্ধ শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, সেই বিন লাদেনকে মারা হয়ে গেছে৷ তাই আফগানিস্তান থেকে বেশি সংখ্যায় মার্কিন সৈন্য দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ওপর চাপ দিচ্ছে বিরোধী দল৷ সঙ্গে যোগ হয়েছে দুর্বল আর্থিক পরিস্থিতি৷ এসব কারণে ওবামা আর কিছুদিনের মধ্যেই ঠিক কতজন সৈন্য ফিরিয়ে আনবেন সেই ঘোষণা দেবেন৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন