1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র: কারজাই

১৮ জুন ২০১১

ওসামা বিন লাদেন আর নেই৷ তাই আর আফগানিস্তানে বেশি সৈন্য রেখে কোটি কোটি ডলার খরচ করতে রাজি নয় যুক্তরাষ্ট্র৷ ফলে এখন একটি রাজনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজছে অ্যামেরিকা৷

https://p.dw.com/p/11eml
Afghan President Hamid Karzai, center, speaks during the inaugural session of Afghanistan's new peace council, as council members Burhanuddin Rabbani, left, and Pir Sayed Ahmad Gailani, listen in Kabul, Afghanistan, Thursday, Oct. 7, 2010. Calling the meeting a "source of hope" for the Afghan people, Karzai on Thursday hosted the inaugural session of the council set up to guide efforts to reconcile with the Taliban and other insurgent groups. (AP Photo/ Gemunu Amarasinghe)
ছবি: AP

সে লক্ষ্যে গত দশ বছর ধরে যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলো যুক্তরাষ্ট্র, সেই তালেবানের সঙ্গেই শান্তি আলোচনা শুরু করেছে দেশটি, বললেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই৷

আলোচনা নতুন নয়

তালবানের সঙ্গে আলোচনা করতে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই গত বছরই একটি কমিটি গঠন করেছিলেন৷ আর যুক্তরাষ্ট্রও যে তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করছে সেটা কূটনীতিকরা আগেই জানিয়েছিলেন৷ তবে তাদের কথা ছিল, আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে৷ কিন্তু কারজাই আজ যেটা বললেন তাতে মনে হচ্ছে, আলোচনা বেশ ভালভাবেই এগোচ্ছে৷ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কারজাইয়ের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি৷

তালেবানের প্রতিক্রিয়া

ঠিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি৷ তবে এক ধরণের প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে৷ কারজাইয়ের বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরেই কাবুলের কেন্দ্রস্থলের একটি পুলিশ স্টেশনে হামলা করেছে চার তালেবান জঙ্গি৷ এতে মোট নয়জন মারা গেছে৷ যার মধ্যে তিনজন পুলিশ ও একজন গোয়েন্দা রয়েছেন৷

জাতিসংঘের প্রচেষ্টা

জাতিসংঘের চেষ্টার পেছনেও অনেকখানি হাত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের৷ এর ফলে এখন থেকে আল-কায়েদা আর তালেবানকে আলাদা করে দেখবে জাতিসংঘ৷ এই সিদ্ধান্ত তালেবানের জন্য একটা পরিষ্কার বার্তা, বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে মার্কিন দূত সুজান রাইস৷ তিনি বলেন, এর ফলে যেসব তালেবান জঙ্গি আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে, সন্ত্রাসের নিন্দা জানাবে এবং আফগানিস্তানের সংবিধানকে মেনে নেবে তাদের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করবে৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের দৃষ্টিতে এই ‘উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ' হচ্ছে সমাজে তাদের একাত্ম করে নেয়া৷

কেন আলোচনা?

কারণ অভ্যন্তরীণ চাপ৷ কেননা যে লক্ষ্যে দশ বছর আগে যুদ্ধ শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, সেই বিন লাদেনকে মারা হয়ে গেছে৷ তাই আফগানিস্তান থেকে বেশি সংখ্যায় মার্কিন সৈন্য দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ওপর চাপ দিচ্ছে বিরোধী দল৷ সঙ্গে যোগ হয়েছে দুর্বল আর্থিক পরিস্থিতি৷ এসব কারণে ওবামা আর কিছুদিনের মধ্যেই ঠিক কতজন সৈন্য ফিরিয়ে আনবেন সেই ঘোষণা দেবেন৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন