তালেবান বন্দী
১৪ আগস্ট ২০১২গত কয়েক মাস ধরে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে তালেবান নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে৷ তবে এখন পর্যন্ত তাতে তেমন কোনো সফলতা আসেনি৷ শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তালেবান নেতৃবৃন্দকে আলোচনায় উপস্থিত করাটা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে৷ সেই ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাও খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এই মাসের শুরুতে মার্কিন কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র জানিয়েছিল যে গুয়ান্তানামো কারাগারে বন্দি পাঁচজন তালেবান নেতাকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে৷ তবে সেই মুক্তিদান কাতারে হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয় সে সময়৷
তবে কাবুলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস কানিংহাম সেরকম কোনো সম্ভাবনার কথা জানালেন না৷ গত সোমবার সাবেক রাষ্ট্রদূত রায়ান ক্রোকারের জায়গায় দায়িত্ব নেন এই কূটনীতিক৷ এরপর তালেবান গোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তি আলোচনার নানা দিক নিয়ে কথা বলেন৷ তালেবান নেতাদের মুক্তিদানের বিষয়ে তিনি জানান, তারা এখনও তেমন কোনো সিদ্ধান্ত নেননি৷
তবে এই শান্তি আলোচনায় পাকিস্তানের ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দিলেন একসময় ইসরায়েলে দায়িত্ব পালন করা জেমস কানিংহাম৷ তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে স্পষ্টতই পাকিস্তানের ভূমিকা রয়েছে৷ তিনি জানান, তালেবান এবং আফগানিস্তানের বিভিন্ন মহলে এখন যোগাযোগ চলছে৷
এদিকে পাকিস্তানে আটক তালেবান নেতার মুক্তির বিষয়টি নিয়েও বেশ আলোচনা হচ্ছে৷ দিন কয়েক আগে প্রেসিডেন্ট কারজাইয়ের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রানগিন স্পান্তা জানান, তালেবান কমান্ডার মুল্লাহ আবদুল গনি বারাদারের সঙ্গে দেখা করেছেন আফগানিস্তানের একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল৷ পাকিস্তানি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিকও জানিয়েছিলেন যে, আফগান কর্মকর্তাদের বারাদারের কাছে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ তবে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইসলামাবাদে অবস্থিত আফগান দূতাবাস এই খবর অস্বীকার করেছে৷ মঙ্গলবার তারা জানায়, এই ধরণের কোনো সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়নি৷ তবে একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, আফগান কর্মকর্তারা দেখা করতে না পারলেও তাঁদের দেওয়া বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তালেবান কমান্ডার আবদুল গনি বারাদারের কাছে৷
আরআই / ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)