‘দেশে ফিরবেন তারেক রহমান’
১৯ জুলাই ২০১৩সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আটক হয়ে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে এবং বিএনপি'র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৭ সালের আগস্টে প্যারোলে মুক্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান চিকিত্সার জন্য৷ দেশের বাইরে থাকা অবস্থায়ই তিনি দলের ভাইস চেয়ারম্যান হন৷ এরপর তিনি আর দেশে ফিরে আসেননি৷ তবে তিনি শিগগরিই দেশে ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির-র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর৷ তিনি শুক্রবার যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের বলেন, লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে তার দেখা হয়েছে৷ তাঁর শারীরিক অবস্থার আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে৷ তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে শিগগিরই দেশে ফিরে আসবেন৷ মির্জা ফখরুল লন্ডনে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি সেমিনারে অংশ নিতে গিয়েছিলেন৷ সেখানে তিনি আগামী নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা আবারো তুলে ধরেছেন বলে জানান৷
এদিকে তারেক রহমানের আইনজীবী এবং বিএনপি-র যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এমপি ডয়চে ভেলেকে জানান, তারেক রহমান দেশে ফিরে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবেন৷ তিনি লন্ডনে অবস্থান করলেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের বাইরে নেই৷ তাছাড়া তিনি দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান৷ সুতরাং তাঁর রাজনীতির বাইরে থাকার প্রশ্নই ওঠেনা৷ তিনি নির্বাচনের আগে দেশে ফিরছেন কিনা জানতে চাইলে শাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, তিনি দ্রুতই ফিরতে চান৷
কয়েকমাস আগে লন্ডনে একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে কথা বলার পর তারেক রহমানকে নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় শাসক দল আওয়ামী লীগ৷ এরপর তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করা হয়৷ আদালত এই পরওয়ানা ইন্টারপোলের মাধ্যমে জারিরও নির্দেশ দেয়৷
মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, তারেক রহমান দেশে ফিরে এ সব মামলা আইনগতভাবে মোকাবিলা করবেন৷ আর তাঁর বিরুদ্ধে যে সব মামলা দায়ের করা হয়েছে তা খুবই দুর্বল৷ রাজনৈতিক কারণে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে৷ তিনি মামলা বা গ্রেফতারি পরওয়ানাকে ভয় পাননা৷
এদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল ডয়চে ভেলেকে জানান, অর্থ পাচার মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আইনি প্রাক্রিয়ার অংশ হিসেবেই গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করা হয়েছে৷ এর আগে তাঁকে আদালতে হাজির হতে একাধিকার সমন দেয়া হয়েছে৷ আর এবার তিনি হাজির না হলে তাঁর অনুপস্থিতিতেই বিচার হবে৷ দেশে ফিরে আসলে তাঁকে মামলা মোকাবিলা করতে হবে৷