1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তাবলিগ মামলায় মোদী সরকারের সমালোচনায় সুপ্রিম কোর্ট

৯ অক্টোবর ২০২০

তাবলিগ জামাত মামলায় মোদী সরকারের কড়া সমালোচনা করল সুপ্রিম কোর্ট। সরকারের হলফনামায় অসন্তুষ্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্ট দ্বিতীয় হলফনামা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

https://p.dw.com/p/3jf7n
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/N. Kachroo

দিল্লিতে করোনাকালে সমাবেশ করেছিল তাবলিগজামাত। তারপর সেখান থেকে সারা ভারতে দ্রুত করোনা ছড়ায় বলে তাবলিগকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম। সেই সব সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধেই সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করা হয়েছে। তার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে জানিয়ে দিলেন, ''বর্তমান সময়ে মত প্রকাশের অধিকারের সব চেয়ে বেশি অপব্যবহার করা হয়েছে।''

তবে এই আবেদনের সূত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রবল সমালোচনা করেছেন প্রধান বিচারপতি। সর্বোচ্চ আদালত আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে হলফনামা চেয়েছিল। সেই হলফনামা দিয়েছেন সরকারের জুনিয়ার অফিসাররা। তাতে তাবলিগ নিয়ে প্রকাশিত ও প্রচারিত যাবতীয় রিপোর্টের সমর্থন করে বলা হয়েছে, খারাপ রিপোর্টিংয়ের কোনো উদাহরণ তাঁরা খুজে পাননি। 

এই হলফনামা পেয়েই প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ প্রবল ক্ষুব্ধ হয়। বিচারপতিদের প্রশ্ন, একজন জুনিয়ার অফিসার কী করে এর জবাব দেন? তাঁদের মতে, এই জবাব একেবারে নির্লজ্জ। সরকারকে জানাতে হবে, কোথায় খারাপ রিপোর্টিং হয়েছিল এবং তাঁরা কী ব্যবস্থা নিয়েছেন?

‘মোদী সরকারের নীতি ভারতকে পেছনে নিয়ে যাচ্ছে’

বিচারপতিদের নির্দেশ, এ বার কোনো জুনিয়ার অফিসার নয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিবকে হলফনামা দিতে হবে। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ''আপনারা এ ভাবে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন না। কিছু জুনিয়ার অফিসার হলফনামার জবাব দেবে এবং সেই জবাবে দায় এড়ানোর চেষ্টা ছাড়া আর কিছু থাকবে না, এটা হতে পারে না। সরকারের যুক্তি, আবেদনকারী কোনো উদাহরণ দিতে পারেননি। আপনারা আবেদনের সঙ্গে একমত নাও হতে পারেন। কিন্তু আপনারা কী করে বলতে পারেন, খারাপ রিপোর্টিংয়ের কোনো উদাহরণ দেয়া সম্ভব নয়?''

প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ''তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিবকে জানাতে হবে, আবেদনকারী যে সব ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন, সে ব্যাপারে তিনি কী মনে করেন। আগের জবাব পুরোপুরি দায় এড়ানোর চেষ্টা বলে আমরা মনে করি। কিছু চ্যানেল ঘৃণা ছড়াচ্ছে বলে আবেদনকারীরা যে অভিযোগ করেছেন, তার কোনো জবাব হলফনামায় নেই।'' প্রধান বিচারপতি বোবদে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, ''দ্বিতীয় হলফনামায় যেন অযৌক্তিক, অপ্রয়োজনীয় কথা না থাকে।'' 

দুই সপ্তাহ পরে মামলার আবার শুনানি হবে।

জিএইচ/এসজি(এনডিটিভি)