1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তাইওয়ানের সীমানায় চীনের রণতরী, যুদ্ধবিমান

৬ এপ্রিল ২০২৩

তাইওয়ানের সীমানায় তিনটি যুদ্ধজাহাজ ও একটি যুদ্ধবিমান পাঠালো চীন।

https://p.dw.com/p/4Pklm
ছবি: Ringo H.W. Chiu/AP Photo/picture alliance

তাইওয়ানের সীমানায় আবার রণতরী পাঠালো চীন। মোট তিনটি রণতরী পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে দুইটি এয়ারক্র্যাফট কেরিয়ার। একটি এয়ারক্র্যাফট কেরিয়ার তাইওয়ানের পূবদিকে এসেছে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, তাদের তটভূমির দুইশ নটিক্যাল মাইল দূরে রয়েছে এই চীনা রণতরী। আর তাইওয়ান খাঁড়ির কাছে চীনের দ্বিতীয় এয়ারক্রাফট কেরিয়ার মহড়া শুরু করেছে। 

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েচে, একটি চীনা যুদ্ধবিমানকেও তাদের সীমানায় দেখা গেছে। 

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের মার্কিন সফর

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন এখন ্অ্যামেরিকা সফর করছেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেছেন সাই। দুই নেতা যখন রোন্যাল্ড রেগন প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরি ভবনে আলোচনার জন্য ঢুকছেন, তখন সেখান দিয়ে একটা ছোট বিমান উড়ে যাচ্ছিল। তাতে ঝুলছিল একটা ব্যানার। তাতে লেখা 'এক চীন। তাইওয়ান চীনের অংশ'।  এরপরই তাইওয়ানে চীনের যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমানকে দেখা যায়।

সাই খুব বড় বিবৃতি দেননি। তিনি বলেন, তাইওয়ান এখন সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই সময়ে অ্যামেরিকা তাদের পাশে থাকায় তিনি কৃতজ্ঞ।

সাইয়ের অ্যামেরিকা সফরের সময়টাও গুরুত্বপূর্ণ। তাইওয়ান নিয়ে চীন এখন তাদের তৎপরতা বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এই সফর যথেষ্ট তৎপর্যপূর্ণ। এর আগেও যখন তাইওয়ান-বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছিল, তখন সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পাওয়েল তাইওয়ান সফর করেছিলেন। তার সফরের পরেই চীন তাইওয়ানের চারপাশ ঘিরে সামরিক মহড়া করে।

অ্যামেরিকায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সফর নিয়ে বিক্ষোভ।
অ্যামেরিকায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সফর নিয়ে বিক্ষোভ।ছবি: Ringo H.W. Chiu/AP/dpa/picture alliance

ম্যাকার্থি ও সাই কী বললেন?

ম্যাকার্থি বলেছেন,  তাইওয়ান বরাবরই অ্যামেরিকার বড় বন্ধু। দুই দেশের মানুষ একসঙ্গে গণতন্ত্র, অর্থনীতি, স্বাধীনতা, শান্তি  ও স্থায়িত্ব বজায় রেখে তা আরো আগে বাড়ানোর চেষ্টা করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।

তার মতে, এই দুই দেশের বন্ধুত্ব মুক্ত দুনিয়ার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

সাই বলেছেন, অ্যামেরিকা তাদের পাশে থাকায়, তাইওয়ানের কখনো একা লাগে না, একঘরে মনে হয় না।

চীনের প্রতিক্রিয়া

চীন এই সফর নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সরকারি সংবাদমাধ্যম শিনহুয়ার রিপোর্ট বলছে, চীানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য চীন যে কোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। অ্যামেরিকা ও তাইওয়ানের মধ্য়ে যোগসাজশ রয়েছে, তা সাইয়ের সফর থেকে স্পষ্ট হয়েছে।

চীনের দাবি, তাইওয়ান তাদের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি)