ঢাকার বসুন্ধরা নয়, ইস্টবেঙ্গলে লগ্নিকারী ইমামি
২৬ মে ২০২২কথাবার্তা অনেকদূর এগিয়েছিল, তা সত্ত্বেও বসুন্ধরা গোষ্ঠীর সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের গাঁটছড়া বাঁধা হলো না। ফলে ইতিহাসও সৃষ্টি হলো না। বাংলাদেশের শিল্পগোষ্ঠী ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের ক্লাবে প্রধান লগ্নিকারি হলে ইতিহাস সৃষ্টি হতো। কিন্তু আশা জাগিয়েও শেষপর্যন্ত তা আর হলো না।
ইস্টবেঙ্গল তাদের ক্লাবে বসুন্ধরার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সায়েম সোহবানকে সংবর্ধনা দিয়েছিল। তাকে আজীবন সদস্যপদ দিয়েছিল। আর সায়েম জানিয়েছিলেন, ভারতীয় ফুটবলের জন্য তিনি কাজ করতে চান।
এরপর ইস্টবেঙ্গল কর্তারা বাংলাদেশ যান। বসুন্ধরার কর্তাদের সঙ্গে তাদের দীর্ঘ আলোচনা হয়। দুই পক্ষই একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে উৎসাহী ছিলেন। কিন্তু তারপরেও সমস্যা দেখা দেয়। সূত্র জানাচ্ছে, এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নেয়ার বিষয়টি ওঠে। তাছাড়া বিদেশি মুদ্রা সংক্রান্ত জটিলতাও ছিল। শেষপর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল ও বসুন্ধরার মধ্যে সম্পর্ক হতে হতে হলো না।
মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ
এর আগের লগ্নিকারী শ্রীসিমেন্টের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের যোগাযোগ ঘটিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও তার উদ্যোগেই ইমামি গ্রুপ ইস্টবেঙ্গলে লগ্নি করতে রাজি হয়েছে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী দুই পক্ষকে পাশে বসিয়ে জানিয়েছেন, ওরা চা খেতে চেয়েছিল। তাই এসেছে। ইস্টবেঙ্গল যাতে আইএসএলে খেলতে পারে, তার জন্য বলেছিল। ইমামি আগ্রহ দেখিয়েছিল। এবার ওরা চুক্তি সেরে ফেলবে।
ইস্টবেঙ্গলের কর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী সবসময়ই ক্লাবের পাশে আছেন।
ম্যান ইউ-র কাহিনি
দিনদুয়েক আগেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে কথা চলছে। তবে তারা এলে মালিক হিসাবেই আসবে। ম্যান ইউ-র সঙ্গে আলোচনাটা সৌরভের উদ্যোগেই হচ্ছিল।
ইমামির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পর ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা ম্যানচেস্টার ইউনাইডেটের বিষয়টি কী হলো, এই প্রশ্ন তুলে সামাজিক মাধ্যম ভরিয়ে দিয়েছেন।
ইস্টবেঙ্গল কর্তারা অবশ্য এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তারা এখন থেকেই নতুন দলগঠনের কাজে লেগে পড়েছেন। বেশ কয়েকজন প্লেয়ারের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। কয়েকজনের সঙ্গে পাকা কথা হয়েও গেছে।
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই)