ঢাকাবাসী হাঁটুন, সাইকেল চালান
১ মার্চ ২০১৬বাঙালি ভোজন রসিক আর খানিকটা অলস৷ তাদের অলসতার এক বড় উদাহরণ হচ্ছে যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা৷ ঢাকা শহরে অনেককে দেখেছি বাড়ি থেকে বের হয়ে এক, দেড় কিলোমিটার পথ হেঁটে বাসে চড়তে আগ্রহ নেই৷ বরং বাড়ির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকবেন মিনিটের পর মিনিট, একটা রিকশার আশায়৷ অথচ একটু হাঁটলে সময়ও বাঁচে, স্বাস্থ্যেরও উপকার হয়৷
হাঁটা কতটা উপকারের, সেটা অনেকেই জানেন৷ তবুও জানাতে চাই, প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট হাঁটা আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনতে পারে৷ শারীরিক এবং মানসিক – উভয় দিক থেকেই হাঁটা ভালো৷ শরীরের বাড়তি মেদ ঝেড়ে ফেলতে চাইলে, ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকতে চাইলে নিয়মিত হাঁটুন৷
অলসরা আবার বলে বসবেন না, ঢাকায় হাঁটার উপায় কী? ফুটপাত থাকে হকারের দখলে কিংবা নোংরা৷ হ্যাঁ, এ সব বাস্তবতা আছে, তবে সবাই সচেতন হলে সমাধান বেরিয়ে আসবেই৷ আপনি শুধু আপনার অংশটুকু করুন, যানজটে বসে না থাকে কিংবা অল্প দূরত্বে রিকশা না নিয়ে হেঁটে সামনের দিকে এগিয়ে যান৷
হাঁটার পাশাপাশি আরেকটি কাজ করতে পারেন, সাইকেল চালানো৷ ঢাকার বর্তমান রাস্তাঘাট এখনো হয়ত সাইকেলের জন্য পুরোপুর উপযোগী হয়নি, কিন্তু প্রয়োজনীয়তা পরিস্থিতি বদলাতে পারে৷ আর প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টির জন্য সাইকেল নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে আপনাকে৷ ইউরোপের প্রায় সব শহরেই সাইকেল এক জনপ্রিয় বাহন৷ কেননা, এখানকার মানুষ জানে সাইকেল চালানোর উপকারের কথা৷ সপ্তাহ তিন ঘণ্টা সাইকেল চালালে হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকের ঝূঁকি কমে যায় প্রায় অর্ধেক৷ পাশাপাশি নিয়মিত সাইকেল চালালে শরীরের কর্মক্ষমতাও বাড়ে৷ তাই ঢাকাবাসী, সম্ভব হলে সাইকেল চালানোর অভ্যাসটাও শুরু করুন৷ দেখবেন, যানজটে যে সময় আপনার নষ্ট হতো, তা আর হবে না৷ আর আপনি হয়ে উঠবেন আরো স্বাস্থ্যবান, শক্তিশালী এবং কর্মক্ষম৷ পকেটও থাকবে ভারী৷
প্রিয় পাঠক, ঢাকার রাস্তায় সাইকেল চালানোর ব্যবস্থা হলে কেমন হয়? নীচে আপনার মতামত জানান৷