1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবার অশান্ত

২৬ এপ্রিল ২০১১

বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবারো অশান্ত হয়ে উঠেছে৷ সংঘর্ষে ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছ৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে৷

https://p.dw.com/p/1145J
ফাইল ছবিছবি: AP

ছাত্রাবাস মোহসীন হলে ভোর রাতে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ চলে সকাল পর্যন্ত৷ সংঘর্ষে ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছ৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে৷ ভোর ৪টার দিকে মোহসিন হল ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়৷ প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্ররা জানায় সংঘর্ষের সময় এক গ্রুপের নেতৃত্ব দেয় হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলি ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাহি৷ প্রতিপক্ষ গ্রুপের নেতৃত্ব দেয় সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন৷ সংঘর্ষে উভয় গ্রুপ আগ্নেয়াস্ত্র, হাত বোমা এবং দেশি ধারাল অস্ত্র ব্যবহার করে৷ সাধারণ ছাত্ররা গুলি ও হাতবোমার শব্দে ঘুম থকে জেগে ওঠেন৷

সংঘর্ষের সময় হলের বেশ কিছু কক্ষে চালান হয় ভাঙচুর৷ দুই পক্ষই ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়ে প্রতিপক্ষের ছাত্রদের কুপিয়ে জখম করে৷ এতে ৫০ জনেরও বেশি আহত হন৷ আহত ছাত্ররা জানায়, রাত ১২টায় প্রথম দু'গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ নিয়ে প্রভোষ্ট হলে গিয়ে তাদের শান্ত করেন৷ এসময় পরিস্থিতি শান্ত রাখতে কিছু সময় পুলিশ হলে অবস্থান করে৷ কিন্তু পুলিশ হল ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ভোর রাতে সংঘর্ষ শুরু হয়৷

সকালে সংঘর্ষ শেষে পুলিশ হলে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন কক্ষ থেকে লাঠি, রড, রাম দা, চাপাতি এবং ২ রাউন্ড গুলিসহ একটি রিভলবার উদ্ধার করে৷ তবে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি৷ শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কর্তা রেজাউল করিম জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হয়েছে৷ তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নানা উন্নয়মূলক কাজের ঠিকাদারি এবং টেন্ডার নিয়ে এই সংঘাত৷

সংঘর্ষে আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে৷ মোহসিন হল সহ ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনা তদন্ত করতে এবং দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে একটি কমিটি গঠন করেছে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক