1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন মহাপরিচালক

১ অক্টোবর ২০১৩

১লা অক্টোবর ডয়চে ভেলের মহাপরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করছেন পেটার লিমবুর্গ৷ প্রায় ১২ বছরের কার্যকালের পর মহাপরিচালক হিসেবে বিদায় নিচ্ছেন এরিক বেটারমান৷

https://p.dw.com/p/19rN0
ছবি: DW/M. Magunia

পেটার লিমবুর্গ এমন একটা সময়ে ডয়চে ভেলের দায়িত্ব নিচ্ছেন, যখন বৈদেশিক সম্প্রচার কর্মসূচি সম্পর্কেই নানা মৌলিক প্রশ্ন উঠছে৷ জার্মানির মতো দেশের আদৌ ডয়চে ভেলের মতো সংবাদ-মাধ্যমের প্রয়োজন আছে কি না, তা নিয়ে চলছে তর্ক-বিতর্ক৷ তার উপর রয়েছে ব্যয় সংকোচের ধাক্কা৷ এমন পরিস্থিতি সম্পর্কে কী মনে করেন পেটার লিমবুর্গ?

দায়িত্ব গ্রহণের ঠিক আগে জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ডয়চে ভেলে গোটা বিশ্বে জার্মানির এক বাস্তব চিত্র এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে জার্মানির অবস্থান তুলে ধরে৷ ডয়চে ভেলে নিরপেক্ষতার সঙ্গে এমন সব তথ্য তুলে ধরে, অনেক মানুষ নিজেদের দেশে সেন্সরশিপের কারণে যার নাগাল পান না৷ গোটা বিশ্বের কাছে ডয়চে ভেলে জার্মানির কণ্ঠ – বিশেষ করে যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন, তাঁদের কাছে৷

ব্রিটেন, ফ্রান্স ও রাশিয়ার মতো দেশের বৈদেশিক সম্প্রচার কেন্দ্র আছে৷ সে ক্ষেত্রে জার্মানিরও কি আলাদা করে একই কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে পেটার লিমবুর্গ বলেন, বিভিন্ন প্রশ্নে জার্মানির অবস্থান অন্যান্য দেশের থেকে ভিন্ন৷ এমনকি সহযোগী ও বন্ধুদের সঙ্গেও সব সময়ে সব বিষয়ে মতের মিল হয় না৷ যেমন সামরিক অভিযানের প্রশ্নে ফ্রান্স ও ব্রিটেনের মনোভাব জার্মানির তুলনায় ভিন্ন৷ ইউরো সংকটের বিষয়ে ব্রিটেনের অবস্থান জার্মানির সম্পূর্ণ বিপরীত৷ অর্থাৎ ব্রিটিশ ও ফরাসিরা জার্মানদের হয়ে কথা বললেই চলবে – এমনটা মনে করা যায় না৷

Peter Limbourg, seit 1. Oktober 2013 Intendant der Deutschen Welle
‘‘ডয়চে ভেলে গোটা বিশ্বে জার্মানির এক বাস্তব চিত্র এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে জার্মানির অবস্থান তুলে ধরে’’ছবি: DW/M. Magunia

লিমবুর্গ আরও মনে করিয়ে দেন, জার্মানির মতো দেশ রপ্তানি-বাণিজ্যের উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল৷ তাছাড়া জার্মানির পররাষ্ট্র নীতির ভিত্তিই কিছু বিশেষ মূল্যবোধের উপর দাঁড়িয়ে৷ তাই গোটা বিশ্বে সংবাদ মাধ্যমের ক্ষেত্রেও জার্মানির নিজস্ব উপস্থিতি প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন লিমবুর্গ৷ তাঁর মতে, অনেক প্রতিযোগিতার মাঝে ডয়চে ভেলেকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে৷ চীন, রাশিয়া, ইরান ও পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের কিছু দেশ নিজস্ব লক্ষ্য পূরণে বৈদেশিক সম্প্রচার চালাচ্ছে, যা জার্মানির তুলনায় ভিন্ন৷ এই কাজে তারা প্রচুর অর্থও লগ্নি করছে৷ এমন অবস্থায় জার্মানির আত্মগোপন করে থাকার কোনো প্রয়োজন নেই, বলেন লিমবুর্গ৷

এমন চ্যালেঞ্জের মুখে ডয়চে ভেলেকে শক্তিশালী করতে প্রথমেই বাড়তি অর্থের দাবি করতে চান না পেটার লিমবুর্গ৷ তাঁর মতে, ডয়চে ভেলে-র জাতীয় দায়িত্ব রয়েছে৷ আন্তর্জাতিক আঙিনায় জার্মানিকে তুলে ধরা তার মধ্যে পড়ে৷ যে সব সংসদ সদস্য ডয়চে ভেলের বাজেটের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন, তাঁদের এ বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করতে হবে৷

জার্মান ভাষায় সম্প্রচার ও ওয়েবসাইট চালু রাখতে এআরডি জেডডিএফ – এই দুই জাতীয় সম্প্রচার কেন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে চান পেটার লিমবুর্গ৷ তবে তাঁর মতে, বেশিরভাগ মানুষের কাছে ডয়চে ভেলে পৌঁছে যায় তাদের নিজস্ব ভাষায়৷ আঞ্চলিক প্রয়োজনকে মনে রেখে সেই ‘কনটেন্ট' তৈরি করা হয়৷ তাছাড়া জার্মান নয় – ইংরেজিই গোটা বিশ্বের মূল ভাষা৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য