1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডেনমার্কে খাদ্য উৎসব

এলকে শোয়াব/এসবি১ নভেম্বর ২০১৩

ছোট দেশ হলেও খাবার-দাবারের বৈচিত্র্যের নিরিখে ডেনমার্ক কম যায় না৷ বিদেশের নানা খাবারও নতুন রূপে দেখা যায় সেখানকার খাদ্য উৎসবে৷

https://p.dw.com/p/1AAC1
Picture taken in Hechi city, south Chinas Guangxi Zhuang Autonomous region on 26 August 2009 shows moon cakes for the traditional Chinese Mid-Autumn Festival. Sales of moon cakes soar in Chinese cities as the traditional Mid-Autumn Festival is drawing near. Moon cakes are Chinese pastries traditionally eaten during the Mid-Autumn Festival. The festival is for lunar worship and moon watching. Moon cakes are regarded as an indispensable delicacy on this occasion. The Mid-Autumn Festival this year falls on October 3. Foto: Qin jiangying/Iamginechina +++(c) dpa - Report+++
ছবি: picture alliance/dpa

মিউজিয়ামের বাগানে ব্রেকফাস্ট৷ ডেনমার্কের দক্ষিণে চাষীদের ‘ঘরে তৈরি বিখ্যাত কেক'-ও রয়েছে৷ আগে ক্রিম আর মাখন নিয়ে কোনো কার্পণ্য করা হতো না৷ মাঠেঘাটে কাজ করলেই তো বাড়তি মেদ ঝরে যেত৷ স্যোন্ডারবর্গ শহরকে ঘিরে কেক-মিষ্টির খ্যাতি ডেনমার্কের সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে৷ আরও ক্যালরি চাইলেও সমস্যা নেই৷ চেখে দেখতে পারেন গরুর দুধের স্মোকড চিজ বা অন্যান্য খাবার৷ গোটা স্ক্যান্ডিনেভিয়ার ৫০টিরও বেশি রেস্তোরাঁর প্রতিনিধিরা এখানে তাঁদের স্পেশাল খাবারদাবার তুলে ধরছেন৷

সম্প্রতি কোপেনহেগেন শহরে ১০ দিন ধরে ১৫টি অনুষ্ঠান চলেছিল৷ গতবারের মূলমন্ত্র ছিল ‘সোশ্যাল ফুড'৷ ‘কোপেনহেগেন কুকিং' উদ্যোগের প্রধান লনি হানসেন বলেন, ‘‘সোশ্যাল ফুড-এর ধারণার অনেকগুলি স্তর আছে৷ এর মধ্যে একটি হলো টেবিলে বসে অন্যান্য মানুষের সঙ্গে আলাপ-পরিচয়৷ আরেকটি হলো সামাজিক সচেতনতা৷ আজকাল খাদ্যের অপচয় নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে৷''

এখানকার শেফ-রা যতটা সম্ভব আঞ্চলিক মাল-মশলাই ব্যবহার করছেন৷ এমনকি এতদিন যা ফেলে দেয়া হতো, তা দিয়ে সুস্বাদু খাবারও রান্না করছেন৷ যেমন পশুর কান দিয়ে মোরব্বা৷ একজন বলেন, স্পেনের আভোকাডোর বদলে এটা মন্দ কী!

নরওয়ের ‘স্টকয়' রেস্তোরাঁ অ্যালজি বা সামুদ্রিক উদ্ভিদ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে৷ তাদের প্রতিনিধি রোয়র স্ভেনিং বলেন, ‘‘খোলা মনে আমরা সব কিছুই ব্যবহার করছি৷ ঐতিহ্য ঝেড়ে ফেলে নতুনের দিকে নজর দিচ্ছি৷ এটা খুবই জরুরি৷''

শহরের মাঝে বসেছিল ‘রিসোটো' বা ইটালিয়ান খিচুড়ি রান্নার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের আসর৷ এই খিচুড়ির ঝোল কীভাবে ক্রিমের মতো হয়, তাকিয়ে দেখেই তা শেখা যায়৷ চারজন প্রার্থী চূড়ান্ত রাউন্ড পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন৷ কোপেনহেগেনের এক ইটালিয়ান রেস্তোরাঁর আলেসান্দ্রো জাকোপিনি বলেন, ‘‘রিসোটো আসলে খুবই সহজ রান্না, ভেতরে তেমন কিছু নেই৷ তাই সামান্য কিছু উপকরণ দিয়ে সেটা সহজ রাখাই ভালো৷ আমি যেমন এতে কিছু মাশরুম ও কুমড়ো ব্যবহার করি৷ আর কিছু নয়৷''

বিচারকদেরও এটা পছন্দ হয়েছিল৷ তাঁরা আলেসান্দ্রো জাকোপিনিকে রিসোটো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন৷ ফলে একমাত্র ইটালিয়ান প্রার্থীই নিজের দেশের রান্না করে জিতে গেলেন৷

শহরের একটি এলাকায় এশিয়ার খাবার চেখে দেখা যায়৷ পথের ধারে খাবার – ‘স্ট্রিট ফুড'-এর এই ধারা ‘সোশাল ফুড'-এর ধারণার সঙ্গে দিব্যি খাপ খেয়ে যায়৷ সিঙ্গাপুরের রাঁধুনিরা সেখানে ডিমের স্যান্ডউইচ এবং চিংড়ি বা মুরগির মাংস দেয়া নুডলস তৈরি করেছেন৷

সিঙ্গাপুরের নামি রেস্তোরাঁয় কাজ করেন দুই রাঁধুনি৷ উৎসবে তাঁরা নিজেদের দেশের অনবদ্য স্বাদ ও গন্ধের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন৷ কোপেনহেগেন শহরের এক নামি রেস্তোরাঁর আমন্ত্রণে তাঁরা এসেছিলেন৷ ‘নামনাম' রেস্তোরাঁর প্রধান কেনেথ বলেন, ‘‘স্ট্রিট ফুড নিয়ে এখন মাতামাতি শুরু হয়েছে৷ আবার আমরা শিকড়ে ফিরে যাচ্ছি, কারণ রেস্তোরাঁ আসার আগেও ‘স্ট্রিট ফুড' ছিলো৷ সেখানেই শুরু৷''

সেতুর নীচে অস্থায়ী রেস্তোরাঁয় ‘স্ট্রিট ফুড' পাওয়া যাচ্ছিল৷ উৎসবের দর্শক এখানে সারা দিন নানা স্বাদ নিতে পারেন৷ অজানা খাবারের সম্ভারের জন্য মাথাপিছু ৮০ ইউরোর মতো খরচ৷ উগান্ডার রাঁধুনি মোমো বলেন, ‘‘আমার কাছে এটা সব সময় একটা চ্যালেঞ্জ৷ একেবারে বাসার রান্নাঘরের মতো, কখন যে কী হবে, কেউ তা জানে না৷ ফরেস্ট গাম্প যেমন বলেছিল – জীবনটা এক বাক্স চকোলেটের মতো৷ ভেতরটা অজানা৷ রেস্তোরাঁ ব্যবসাও ঠিক সেরকম৷''

কোপেনহেগেন শহরে এই উৎসবের ক'দিন ধরে অ্যাডভেঞ্চারের সুযোগ পাওয়া গিয়েছিল৷