ডুবে গেল রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ
১৫ এপ্রিল ২০২২কৃষ্ণ সাগরে ডুবে গেছে রাশিয়ার অন্যতম যুদ্ধজাহাজ মসকভা। বৃহস্পতিবার রাশিয়া একথা স্বীকার করে নিয়েছে। ইউক্রেন জানিয়েছে, তাদের ছোঁড়া রকেটের আঘাতেই বিস্ফোরণ হয় রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ওই যুদ্ধজাহাজে। এরপরেই ক্রমশ ডুবে যায় জাহাজটি।
জাহাজ ডুবে যাওয়ার পরে পেন্টাগন এবিষয়ে মন্তব্য করেছে। তাদের বক্তব্য, ইউক্রেন আগ্রাসনে রাশিয়ার এই জাহাজডুবি বড় ধাক্কা। রাশিয়া গত ৫০ দিন ধরে কৃষ্ণসাগরে ক্ষমতা প্রদর্শন করছিল। কার্যত ব্লকেড তৈরি করে রেখেছিল রাশিয়ার নৌবাহিনী। জাহাজডুবির ফলে রাশিয়া কিছুটা হলেও পিছিয়ে যেতে বাধ্য হবে। রাশিয়া অবশ্য এখনো এবিষয়ে কোনো পাল্টা মন্তব্য করেনি।
অ্যামেরিকার সতর্কবার্তা
সিআইএ ডিরেক্টর উইলিয়াম বার্নস বৃহস্পতিবার একটি সতর্কবার্তা প্রকাশ করেছেন। তার বক্তব্য, রাশিয়া ইউক্রেনে যেভাবে অভিযান চালাতে চেয়েছিল, তা সফল হয়নি। ইউক্রেন এতটা প্রতিরোধ করবে, রাশিয়া তা ভাবতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া যে কোনো সময় কম শক্তির পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে বলে সিআইএ প্রধান সতর্ক করেছেন।
বস্তুত, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন অভিযান শুরু করার পরেই ভ্লাদিমির পুটিন পরমাণু অস্ত্র ব্যবাহরকারী সেনা বাহিনীতে হাই অ্যালার্ট জারি করেছিলেন।
জুন মাসে ইউক্রেনের ফুটবল ম্যাচ
গত ২৪ মার্চ বিশ্বকাপ ফুটবলের কোয়ালিফায়ারে খেলার কথা ছিল ইউক্রেনের। কিন্তু যুদ্ধের জন্য তারা সে ম্যাচ খেলতে পারেনি। ফিফার কাছে ইউক্রেন অনুরোধ করেছিল, ম্যাচটি যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়। ফিফা জানিয়ছে, পরিবর্তিত তারিখ ১ জুন। গ্লাসগোয় সেই ম্যাচ খেলা হবে। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে হবে ইউক্রেনকে। সেই ম্যাচ জিতলে ৫ জুন ওয়েলসের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ইউক্রেন।
অনাহারে মারা যাচ্ছেন মারিউপলের মানুষ
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের প্রধান ডেভিড বিসলি অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, গ্রাউন্ড রিপোর্ট বলছে, মারিউপলে খাবার এবং জলের অভাবে মানুষ মরতে বসেছে। বহু মানবাধিকার কর্মী সেখানে ন্যূনতম প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছে। কিন্তু রাশিয়া ওই অঞ্চল কার্যত অবরুদ্ধ করে রেখেছে। খাবারও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে সেখানকার মানুষ অনাহারে ভুগছেন।
বাইডেনের ঘোষণা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, উচ্চপদস্থ মার্কিন প্রশাসকরা কিয়েভে যেতে পারেন। সংবাদমাধ্যমকে বাইডেন জানিয়েছেন, যুদ্ধ এখন পূর্ব দিকে সরে গেছে। সে কারণেই ইউক্রেনের রাজধানীতে যাওয়ার কথা ভাবছেন মার্কিন প্রশাসকরা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চাইছেন তারা। বাইডেন নিজেও কিয়েভ যেতে চান বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তবে কোনো তারিখ ঘোষণা করেননি তিনি।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)