ডিসিসি নির্বাচন
১৭ এপ্রিল ২০১২ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন বা ডিসিসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার এক সপ্তাহের মাথায় আদেশ দিল আদালত৷ তফসিল অনুযায়ী, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে ২৪ মে ভোট হওয়ার কথা ছিল৷ এই আদেশের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিক খাদিমুল ইসলাম জানাচ্ছেন, আদালত বলেছেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের জন্য পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি না নিয়েই এই নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণা করেছিল৷ অন্যদিকে দেখা যাচ্ছিল, ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দল উভয়েই এই নির্বাচনের জন্য প্রার্থী দিতে রীতিমত হিমসিম খাচ্ছিল৷ উপযুক্ত প্রার্থী খুঁজে বের করা হয়ে দাঁড়ডিয়েছিল একটা সমস্যা৷ সেক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশে এই নির্বাচন আপাতত তিন মাসের জন্য পিছিয়ে যাওয়ায় দুই শিবিরেই স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়েছে৷
‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশে'-এর পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের করা একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়৷ সাংবাদিক খাদিমুল ইসলামের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, নির্বাচন হলে কারা ছিলেন সুবিধাজনক অবস্থানে? খাদিমুল জানালেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারপক্ষীয় দলের প্রার্থীদের অনেকেরই জনপ্রিয়তা সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যাচ্ছে নেমে যেতে৷ সেক্ষেত্রে নির্বাচন হলে হয়তো বা বিরোধীরাই কিছুটা সুবিধা পেতেন৷
নির্বাচনের প্রস্তুতি পূর্ণাঙ্গ না থাকায় আদালতের নির্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, ঢাকার জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা, দুই রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসককে দুই সপ্তাহের মধ্যে এর কারণ জানাতে বলা হয়েছে৷ সাংবাদিক খাদিমুল ইসলাম বলছেন, এখন দেখার বিষয় আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কী জবাব দেয়৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ