ডিসি-এসপিরা শেখ হাসিনার কথা শোনেন: মির্জা ফখরুল
১২ অক্টোবর ২০২২তাই নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ বলেন, চট্টগ্রামে শুরু হওয়া আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়েসরকারের পতন ঘটানো হবে৷ বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের পলো গ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত এক মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন৷
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন,‘'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ছিল র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে দরকার ছিল বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া৷''
তিনি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া দরকার ছিল, কেননা সরকারের নির্দেশেই গুম-খুন হচ্ছে৷ জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলেছে যে এখানে গুম-খুন হয়, এখানে বিচার বিভাগ স্বাধীন নয়৷
সমাবেশে অংশ নেওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আজকের সমাবেশে আসার সময় আওয়ামী লীগ হামলা করেছে, গাড়ি ভেঙেছে৷ কিন্তু তারপরও তারা লোক সমাগম ঠেকাতে পারেনি, ভয় দেখিয়ে মানুষকে দমিয়ে রাখা যাবে না৷''
জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিভাগীয় (দলের সাংগঠনিক বিভাগ) পর্যায়ে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়৷ চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার নেতা-কর্মীরা এতে অংশ নেন৷
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আপনি মানুষকে বলেছেন কম খান, কম বিদ্যুৎ জ্বালান৷ সামনে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে৷ তাহলে আপনি আছেন কেন? এখনই ক্ষমতা ছাড়েন, নইলে পালানোর পথ পাবেন না৷''
মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার নির্বাচিত সরকার নয়, তাই সবকিছু লুট করে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে৷ দেশের মানুষ গরিব হয়ে আছে৷ শেখ হাসিনার ১০ টাকার চাল এখন ৭০ টাকা৷ চালসহ নিত্যপণ্যের দাম তিন থেকে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে৷ সামনে বিদ্যুতের দামও বাড়ানো হবে৷ পেট্রল, গ্যাস, পানির দামও বাড়ানো হয়েছে৷ দাম বাড়ার কারণে জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে কানাডার বেগমপাড়া ও লন্ডনে বাড়ি করছে তারা৷''
মির্জা ফখরুলের অভিযোগ দেশের বিচার বিভাগসহ সবকিছু দলীয়করণ হয়ে গেছে৷
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন৷ নগরের পোলো গ্রাউন্ড মাঠ পূর্ণ হয়ে আশপাশের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়৷
এপিবি/কেএম (ডেইলি স্টার, প্রথম আলো)