ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কারকে স্বাগত জানালো অ্যামেরিকা
৮ আগস্ট ২০২৩মিলারকে উদ্ধৃত করে দ্য ডেইলি স্টার জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো মূল্যায়ন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এ নিয়ে তার সরকারের অবস্থান জানান।
মিলার বলেন, ''আমরা আগেই বলেছি, সমালোচকদের গ্রেপ্তার, আটক ও মুখ বন্ধ রাখার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা আইন সংস্কার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের দীর্ঘদিনের অঙ্গীকারকে স্বাগত জানাই।''
তিনি আরও বলেন, ''আমরা বাংলাদেশ সরকারকে নতুন খসড়া সাইবার নিরাপত্তা আইন পর্যালোচনায় নিজেদের ভাবনা যোগ করার সুযোগ দিতে উৎসাহিত করি যাতে এটি আন্তর্জাতিকমান পূরণ করতে পারে।''
সোমাবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিভিন্ন স্থানীয় গণমাধ্যমকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম পরিবর্তন, সংস্কার ও আধুনিকীকরণ করার কথা জানান৷
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা পরিবর্তন ও সংস্কার করে এর নতুন নাম রাখা হয়েছে সাইবার নিরাপত্তা আইন। এই সংস্কারের মূল পরিবর্তন মনে করা হচ্ছে শাস্তির পরিমাণ কমানোকে অর্থাৎ মানহানির ক্ষেত্রে ফৌজদারি শাস্তির বিধান বাতিল করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি করে আসছিলো দেশের বিভিন্ন মহল। জাতিসংঘ থেকে এই আইনের দুটি ধারা সম্পূর্ণরুপে বাতিল এবং আটটি ধারাকে সংশোধন করার সুপারিশ করা হয়েছিলো। গত এপ্রিল মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টার্ক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ স্থগিত ও এই আইনকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে সংশোধন করার আহ্বান জানান।
এডিকে/কেএম (দ্য ডেইলি স্টার)