সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড
২৫ আগস্ট ২০১২কিন্তু তারা কারা তা জানতে সন্দেহভাজনদেরও ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন পড়বে৷ আর তারাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত কিনা তা জানতে হলে আরও গভীর তদন্তের প্রয়োজন হবে৷ এসব ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজন আছে বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিএনএ ল্যাব প্রধান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শরীফ আখতারুজ্জামান৷
ব়্যাবের মিডিয়া ও লিগ্যাল উইং-এর পরিচালক কমান্ডার এম সোহায়েল শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের আলামত থেকে সন্দেহভাজনদের ডিএনএ প্রোফাইল জানার কাজ চলছে৷ রুনির টি-শার্ট থেকে এক ব্যক্তির পূর্ণাঙ্গ ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া গেছে৷ আর এ কাজ হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুইটি ফরেনসিক ল্যাবে৷ তাদের চাহিদা অনুযায়ী বেশ কিছু আলামত পাঠানো হয়েছে৷ ফল জানতে আরো দুই সপ্তাহ লাগবে৷ তবে কোনো সন্দেহভাজনের ডিএনএ এখনো সংগ্রহ করেনি ব়্যাব৷
এদিকে, ড. শরীফ আখতারুজ্জামান জানান, ডিএনএ পরীক্ষা তদন্তের প্রাথমিক কাজ৷ আলামত থেকে পাওয়া ডিএনএ প্রোফাইলের সহায়তায় ঘটনার সময় এবং আগে পরে ব্যক্তিদের উপস্থিতি জানা যাবে৷ কিন্তু তাদের পরিচয় জানতে সন্দেহভাজনদের ডিএনএ'র সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হবে৷ তাই আলামত থেকে ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়ার পর ব়্যাবের কাজ হবে সন্দেহভাজনদের ডিএনএ সংগ্রহ করে মিলিয়ে দেখা৷ যদি আলামত থেকে পাওয়া ডিএনএ'র সঙ্গে সন্দেহভাজন কারোর ডিএনএ মিলে যায় তাহলে পরবর্তী তদন্তের কাজ অনেকটা সহজ হবে৷ কিন্তু শুধু ডিএনএ দিয়েই অপরাধী শনাক্ত করা সম্ভব নয় বলে জানান ড. অখতারুজ্জামান৷
তিনি বলেন, এসব ক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন৷ প্রথম দেখতে হবে আলামত থেকে পাওয়া ডিএনএ প্রোফাইল সাগর-রুনির ডিএনএ কিনা৷
তিনি জানান, উন্নত বিশ্বে অপরাধ তদন্তে ডিএনএ পরীক্ষা তদন্তের প্রাথমিক কাজ৷ কারণ সেখানে নাগরিকদের ডিএনএ কেন্দ্রীয়ভাবে সংগ্রহ করে রাখা হয়৷ কোনো অপরাধ ঘটলে ঘটনাস্থলের আলামত থেকে যদি কোনো ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায় তাহলে সংগ্রহে থাকা ডিএনএ'র সঙ্গে তুলনা করে সহজেই সন্দেহভাজনদের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করে তদন্ত শুরু করেন তদন্তকারীরা৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: জাহিদুল হক