ডাইনোসরের গায়ের রঙ আদার খোসার মত
১ জুলাই ২০১১ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক কাজটায় হাত দিয়েছিলেন বেশ কয়েকমাস আগে৷ সম্প্রতি তাঁরা বিচিত্র এক বিষয়ে সাফল্য পেয়ে গেলেন৷ কী সেই সাফল্য? সাফল্য হল, সেই আদিম পৃথিবীর জীবজন্তুদের রঙচং থেকে শুরু করে তাদের প্রত্যেকের শরীরের প্রতিটি রাসায়নিক বিবর্তনের ছবি৷ সে ছবি মিলেছে ওই ফসিল থেকেই৷
জীবাশ্ম থেকে এই বিচিত্র পদ্ধতিতে লক্ষ লক্ষ বছর আগে এই দুনিয়ায় বেঁচে থাকা প্রাণীদের শরীরের জীবন্ত চেহারাটা দেখার এই উপায়কে বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন জীবনের রসায়ন৷ কথাটা ভুলও তো নয়৷ এক্সরে করে জীবাশ্মের মধ্যে প্রথমে খুঁজে বের করা হচ্ছে সামান্য ধাতব আকৃতিগুলিকে৷ তারপর সেই ধাতু থেকে এক বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা জেনে যাচ্ছেন, কী রং ছিল সেই প্রাণীর বা পাখির বা পশুর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে৷
এক পাখিকে দিয়েই এই জীবাশ্ম পরীক্ষার সূত্রপাত জানিয়েছেন গবেষকদলের প্রধান ড. ফিল ম্যানিং৷ বলেছেন, পাখিটি এই গ্রহে বেঁচে ছিল বেশিদিন আগে নয়, মাত্র ১২০ মিলিয়ন বছর আগে৷ জীবাশ্ম থেকেই তা মালুম৷ এরপর সেই জীবাশ্মের পরীক্ষা করতে গিয়েই ধাতুর সন্ধান৷ তারপরেই ইউরেকা৷ এই পদ্ধতিতেই নাকি জানা গেছে, ডাইনোসরদের চামড়ার রঙ ছিল আদার খোসার রঙের৷
সুতরাং, রঙিন ডাইনোসরের কল্পনার অবসান ঘটাল এই নয়া আবিষ্কার৷ এরপর আরও বহু কিছু জানা যাবে৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন