1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ডনবাস নরকে পরিণত হয়েছে'

২০ মে ২০২২

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মতে, রুশ নিয়ন্ত্রিত পূবের ডনবাস অঞ্চল ধ্বংস হয়ে গেছে৷

https://p.dw.com/p/4BcVU
Ukraine-Krieg | Gefechte im Donbass
ছবি: Alex Chan Tsz Yuk/SOPA Images/ZUMA Press/picture alliance

বৃহস্পতিবার রাতে দেশবাসীর উদ্দেশে এক ভাষণে তিনি বলেন, রুশ জবরদখলকারীরা দেশের পূর্বাংশে ডনবাস অঞ্চলে মানুষের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করছে৷ তার মতে, অত্যুক্তি না করেও বলা যায়, অঞ্চলটি নরক হয়ে উঠেছে৷ ওডেসা এলাকা ও ইউক্রেনের কেন্দ্রভাগের শহরগুলির উপর ক্রমাগত হামলা চলছে৷ ডনবাস পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে, বলেন জেলেনস্কি৷

মারিউপোল শহরে মারাত্মক সংঘর্যের পর ইউক্রেন আপাতত পিছু হটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ রুশ সূত্র অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত ১,৭৩০ জন ইউক্রেনীয় যোদ্ধা আত্মসমর্পণ করেছে৷ তবে আজভ রেজিমেন্টের উপ প্রধান সভিয়াতোস্লাভ পালামার একটি ভিডিও প্রকাশ করে দাবি করেছেন, যে তিনি এবং বাকি কমান্ডাররা এখনো ইস্পাত কারখানার মধ্যেই রয়েছেন৷ তিনি এক গোপন অভিযানের উল্লেখ করেন৷ কিয়েভ সরকার রাশিয়ার হাতে আটক যোদ্ধাদের মুক্তির জন্য বন্দি বিনিময়ের চেষ্টা চালাচ্ছে৷

এদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের আর্থিক সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে আরও নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷ মার্কিন সংসদের উচ্চ কক্ষ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে সে দেশের জন্য প্রায় ৪,০০০ কোটি ডলার অংকের নতুন সহায়তার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে৷ মার্কিন ইতিহাসে এর আগে অন্য কোনো দেশকে এত বড় অংকের সহায়তা দেওয়া হয়নি৷ শিল্পোন্নত দেশগুলির গোষ্ঠী জি-সেভেনও ইউক্রেনের জন্য ১,৮৪০ কোটি ডলার বরাদ্দ করতে রাজি হয়েছে৷ এই দেশগুলির মতে, অস্ত্র সরবরাহের মতো আর্থিক সহায়তাও রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের আরও দ্রুত জয় নিশ্চিত করবে৷

ইউক্রেনের জন্য আরও ভারি অস্ত্রের জোগানও অব্যাহত রয়েছে৷ রাশিয়া সে দেশের উপকূল অবরোধ করে রাখায় মার্কিন প্রশাসন ইউক্রেনকে জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর তোড়জোড় করছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্র অ্যান্টনি ব্লিংকেন মস্কোর বিরুদ্ধে খাদ্য সরবরাহকে ‘জিম্মি' হিসেবে অপব্যবহার করার অভিযোগ এনেছেন৷ শুধু ইউক্রেনের মানুষ  নয়, গোটা বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন৷ উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হবার পর বিশ্বব্যাপী শস্য, রান্নার তেল, জ্বালানি ও সারের মূল্য অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে গেছে৷ অবরোধ তুলে নেওয়ার শর্ত হিসেবে রাশিয়া সে দেশের রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার দাবি করেছে৷

রাশিয়ার উপর আরও চাপ বাড়াতে পশ্চিমা দেশে রুশ শিল্পপতিদের সম্পদ কাজে লাগিয়ে ইউক্রেনের পুনর্গঠনের কথাও ভাবা হচ্ছে৷ বিদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্পদও সেই কাজে লাগানোর জন্য চাপ বাড়ছে৷ কুয়াইতের উপর হামলার শাস্তি হিসেবে সাদ্দাম হুসেনের ইরাকের তেল বিক্রির অর্থ যেভাবে অধিকৃত এলাকার পুনর্গঠনের কাজে লাগানো হয়েছিল, সেই মডেল রাশিয়ার উপর প্রয়োগ করার দাবি উঠছে৷ রাশিয়া থেকে পেট্রোলিয়াম আমদানি করলে কোনো দেশের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনাও আর উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন তেল আমদানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

এসবি/জেডএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)