1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনায় ম্যার্কেল

৩০ জানুয়ারি ২০১৭

মুসলিমপ্রধান সাতটি দেশের নাগরিকদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে এই প্রতিক্রিয়া জানান তিনি৷

https://p.dw.com/p/2WdMY
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ-প্রতিবাদ
ছবি: Getty Images/J. Raedle

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার এক নির্বাহী আদেশ সই করেন৷ ফলে আগামী চার মাস দেশটিতে কোনো শরণার্থী প্রবেশ করতে পারবেন না৷ সিরীয় শরণার্থীদের ক্ষেত্রে সময়টি চার মাস নয়, অনির্দিষ্টকাল৷ এছাড়া সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশ – ইরাক, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের নাগরিকরা আগামী তিন মাস যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না৷

ট্রাম্প বলেন, এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার অন্যতম কারণ ২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলা৷ তবে ঐ হামলার সঙ্গে জড়িতরা যে চার দেশের নাগরিক (মিশর, লেবানন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত) ছিলেন, সেসব দেশের উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি৷

ম্যার্কেলের সঙ্গে ফোনালাপের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প
ম্যার্কেলের সঙ্গে ফোনালাপের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পছবি: picture alliance/Marovich/ Pool via CNP/MediaP

শনিবার ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোন আলাপের সময় ম্যার্কেল মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জেনেভা কনভেনশনের কথা স্মরণ করিয়ে দেন৷ কনভেনশনে বলা হয়েছে, মানবিক কারণে আন্তর্জাতিক বিশ্বকে যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের শরণার্থীদের গ্রহণ করতে হবে৷ ম্যার্কেল ট্রাম্পকে বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই শরণার্থী ও মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দেয়ার কারণ হতে পারে না৷

ম্যার্কেল ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দেশের নেতা ও কর্পোরেট কোম্পানির প্রধান ট্রাম্পের আদেশের সমালোচনা করেছেন৷

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর সহ বিশ্বের অনেক দেশে বিক্ষোভ হয়েছে৷ হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রবিবার দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিমানবন্দরে জমায়েত হয়েছিলেন৷ বিক্ষোভ হয়েছে ট্রাম্পের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসের সামনেও৷

ট্রাম্পের দলের গুটিকয়েক নেতা তাঁর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন৷ তাঁদের মধ্যে আছেন ২০০৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী জন মেককেইন ও লিন্ডসে গ্রাহাম৷ এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘‘এই নির্বাহী আদেশ, ইচ্ছাকৃত হোক কিংবা না হোক, একটি সিগন্যাল পাঠাবে যে, যুক্তরাষ্ট্র চায় না মুসলিমরা সেখানে যাক৷ তাই আমাদের ভয়, এই আদেশ আমাদের নিরাপত্তার উন্নতির চেয়ে সন্ত্রাসী তৈরিতে সাহায্য করতে পারে৷''

তবে ট্রাম্প এই বিবৃতির সমালোচনা করে টুইটারে লিখেছেন, সবসময় ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর পথ না খুঁজে' তাঁদের (সমালোচনাকারী রিপাবলিকানরা) উচিত আইসিস, অবৈধ অভিবাসী, সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে ভাবা৷

এদিকে, ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশকে গণমাধ্যমে ‘মুসলমানদের উপর নিষেধাজ্ঞা' হিসেবে দেখানোয় তার সমালোচনা করেছে হোয়াইট হাউস৷ এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ‘‘স্পষ্ট করে বললে, এটি মুসলিমদের উপর নিষেধাজ্ঞা নয়৷ এটা ধর্মের কোনো বিষয় নয়, এটা সন্ত্রাস আর আমাদের দেশকে নিরাপদ রাখার বিষয়৷''

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার বৈধ ভিসা থাকার পরও দেশটির বিভিন্ন বিমানবন্দরে রবিবার বিকাল পর্যন্ত কমপক্ষে ১০৯ জনকে আটকে দেয়া হয়৷ এই আটকে পড়াদের সহায়তা করতে বিমানবন্দরগুলোতে আইনজীবীরা অনুবাদক সহ স্টল খুলে বসেছেন৷

এদিকে, নিউ ইয়র্ক, ম্যাসাচুসেটস, ভার্জিনিয়া এবং ওয়াশিংটনের বিচারকরা ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ কার্যকর করা স্থগিত করেছেন৷ ফলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর সই করা নির্বাহী আদেশগুলোর মধ্যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক আদেশে স্বাক্ষরই ট্রাম্পকে বেশি সমস্যায় ফেলেছে৷ গত এক সপ্তাহে ট্রাম্প যেসব কাজ করেছেন সংক্ষেপে তা জানা যাবে নীচের এই ভিডিও থেকে৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স, এপি)

বন্ধু, আপনিও কি ট্রাম্পের এমন নির্বাহী আদেশের বিরোধীতা করেন? তাহলে জানান আপনার মন্তব্য, নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান