ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনার সুপারিশ কংগ্রেসের
২০ ডিসেম্বর ২০২২যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে ফৌজদারি বিচারের আওতায় আনার অনুরোধ করলো কংগ্রেস।
প্রায় ১৮ মাসের তদন্তে ডেমোক্রেট নেতৃত্বাধীন কমিটি এক হাজার জনের বেশি সাক্ষীর সাক্ষাৎকার ও শত শত নথি যাচাই করে সোমবার বিচার বিভাগের কাছে এই অনুরোধ করে। কমিটির সকলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে চারটি ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনার প্রস্তাবে ভোট দিয়েছেন।
সরকারি কাজে বাধা প্রদান, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে প্ররোচনা ও ইন্ধন দেওয়া এবং মিথ্যাচার করার অভিযোগগুলো আনা হয়।
যদিও এমন অনুরোধ ফেডারেল প্রসিকিউটরেরা শুনতে বাধ্য নয়, তবে একজন বিশেষ কৌঁসুলি ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের পরাজয় বানচাল করা এবং হোয়াইট হাউস থেকে গোপন নথি সরিয়ে ফেলার প্রচেষ্টা সম্পর্কিত আরও দুটি ফেডারেল তদন্তের তদারক করছেন।
"এমন বিদ্রোহ যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃত্ব বিরুদ্ধ, এটি একটি গুরুতর ফেডারেল অপরাধ,” বলেন কমিটির একজন সদস্য ও ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান জেমি রাসকিন।
এ ব্যাপারে বিচার বিভাগের একজন মুখপাত্র মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। ট্রাম্পের একজন মুখপাত্রের কাছে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি জবাব দেননি।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি সকালে হোয়াইট হাউসের কাছে তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন ট্রাম্প। জো বাইডেনের পক্ষে ব্যালট প্রত্যাখ্যান করার পরিকল্পনার সাথে না থাকার জন্য তার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে প্রকাশ্যে গালমন্দ করেন।
ট্রাম্প সেখানে কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করেন। এ সময় তার হাজার হাজার সমর্থক পুলিশকে আক্রমণ করে ক্যাপিটল হিলে হামলা চালায় আর পেন্সকে ফাঁসিতে ঝোলানোর হুমকি দেয়। এই হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়।
তদন্ত কমিটির চেয়ারপারসন বেনি থম্পসন সমর্থকদের ক্যাপিটল হিলে ডেকে এনে উস্কানি দেয়ার জন্য ট্রাম্পের নিন্দা করেছেন। জালিয়াতির ও মিথ্যা দাবির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য তিনি ট্রাম্পের সমালোচনা করেন।
"বিশ্বাস ভেঙে গেলে আমাদের গণতন্ত্রও ভেঙে পড়বে। ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন," অভিযোগ করেন থম্পসন।
একেএ/কেএম (রয়টার্স)