ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা!
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭এর আগে ট্রাম্প ছয়টি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন৷ তিন মাসের জন্য জারি থাকা ঐ নিষেধাজ্ঞার শেষ দিন ছিল রবিবার৷ ঐ ছয়টি দেশ ছিল ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেন৷ এবারের নিষেধাজ্ঞা থেকে সুদানকে বাদ দেয়া হয়েছে৷ তবে তালিকায় যোগ হয়েছে উত্তর কোরিয়া ও চাডের নাম৷ ভেনেজুয়েলার নির্দিষ্ট সংখ্যক সরকারি কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে৷ আদেশে সই করার পর ট্রাম্প টুইটারে লিখেছেন, ‘‘অ্যামেরিকাকে নিরাপদ করা আমার এক নম্বর অগ্রাধিকার৷''
পর্যাপ্ত পরিকল্পনা গ্রহণ না করায় ট্রাম্পের প্রথম ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত আদেশের পর বিমানবন্দরগুলোতে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল৷ তবে এবার বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ বিদেশি সরকারগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে৷ ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বা ডিএইচএস-ও কয়েকমাস ধরে এই বিষয়ে কাজ করেছে৷ এক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের কয়েকটি ইস্যু সম্পর্কে খবর নিয়েছে ডিএইচএস৷ যেমন কোনো দেশ বায়োমেট্রিক তথ্য সহ ইলেক্ট্রনিক পাসপোর্ট ইস্যু করে কিনা, হারিয়ে যাওয়া পাসপোর্ট সম্পর্কে ইন্টারপোলকে জানায় কিনা, ভ্রমণকারীর সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য অন্য দেশের সঙ্গে শেয়ার করে কিনা ইত্যাদি৷
নতুন আদেশের কারণে বৈধ ভিসা বাতিল করা হবে না বলে জানানো হয়েছে৷ এছাড়া ইরানের নাগরিকরা শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক বিনিময় সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে যোগদানের লক্ষ্য ভিসার আবেদন করতে পারবেন৷ তবে এক্ষেত্রে তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে যেতে হবে৷
ট্রাম্পের প্রথম ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় শুধু মুসলিমপ্রধান দেশ থাকায় সমালোচনা হয়েছিল৷ বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান পরিপন্থি বলেও মন্তব্য করেছিলেন অনেকে৷ এবার সেসব সমালোচনা এড়াতে উত্তর কোরিয়া ও ভেনেজুয়েলার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷
এক বছরে মাত্র ১০০ ভিসা!
ট্রাম্পের সবশেষ নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়ার নাগরিকরা প্রভাবিত হবেন না৷ কারণ দেশটির নাগরিকদের এমনিতেই দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি নেই৷ শুধুমাত্র বিদেশি মুদ্রা উপার্জন সম্ভব হবে এমন চাকরি করতে নাগরিকরা অন্য দেশে যেতে পারেন৷ এছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেও অন্য দেশে যেতে পারেন উত্তর কোরীয়রা৷
ভয়েস অফ অ্যামেরিকার গতমাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র গত বছর উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের জন্য মাত্র একশটি ভিসা ইস্যু করেছে৷ এর মধ্যে ৫২টি ছিল ব্যবসা কিংবা পর্যটন ভিসা৷ আর বাকিগুলো কূটনৈতিক ভিসা৷ এছাড়া এ বছরের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত উত্তর কোরীয়রা মাত্র ১৮টি ভিসা পেয়েছে৷
জেডএইচ/ডিজি (এপি)