ট্রাম্পের থেকে সামান্য এগিয়ে হ্যারিস, বলছে রয়টার্সের সমীক্ষা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিস তার প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় সামান্য এগিয়ে, বলছে রয়টার্সের সমীক্ষা।
কী বলছে সমীক্ষা
রয়টার্স/আইপিএসওএস সমীক্ষা বলছে, হ্যারিস ট্রাম্পের থেকে তিন পার্সেন্টেজ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন। এক সপ্তাহ আগেও একই পার্সেন্টেজ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন হ্যারিস। সর্বশেষ সমীক্ষায় হ্যারিস ৪৬ শতাংশ ও ট্রাম্প ৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
ছয়দিন ধরে সমীক্ষা
ছয়দিন ধরে এই সমীক্ষা নেয়া হয়েছে। সোমবার এই সমীক্ষার কাজ শেষ হয়। তারপরই ফলাফল সামনে আনে রয়টার্স/আইপিএসওএস।
প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা
এই সমীক্ষার ফল দেখিয়ে দিচ্ছে, হ্যারিস ও ট্রাম্পের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। কারণ, সমীক্ষায় প্রায় চার পার্সেন্টেজ পয়েন্ট এরর বা ভুলের সম্ভবনার কথা বলা হয়েছে। সেটা মাথায় রাখলে বোঝা যায়, হ্যারিস এগিয়ে থাকলেও সন্তুষ্টির কোনো জায়গা নেই।
ভোটদাতাদের চিন্তা
ভোটদাতারা মার্কিন অর্থনীতি ও অভিবাসন দুইটি বিষয় নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত। এই দুইটি বিষয় ট্রাম্প বারবার তুলছেন। তার প্রচারে এই দুইটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্ব পেয়েছে। সমীক্ষায় অনেকেই বলেছেন, নতুন প্রেসিডেন্ট প্রথম একশ দিনে অভিবাসন সমস্যা নিয়ে তৎপর হবেন ও সিদ্ধান্ত নেবেন বলে তারা আশা করেন।
ট্রাম্পের বিপক্ষে
অর্থনীতি ও অভিবাসনের ক্ষেত্রে অনেক ভোটদাতার প্রথম পছন্দ ট্রাম্প। আবার রাজনৈতিক চরমপন্থা ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যতের প্রশ্ন ট্রাম্পের বিপক্ষে যাচ্ছে।
হ্যারিসের পক্ষে
গর্ভপাত ও স্বাস্থ্যনীতির ক্ষেত্রে হ্যারিস এগিয়ে। সমীক্ষা থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে। গণতন্ত্রকে রক্ষা করার প্রশ্নেও তিনি এগিয়ে।
সুইং স্টেটগুলিতে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল বহুলাংশে নির্ধারণ করে দেয় সুইং স্টেটগুলি। এই সুইং স্টেটে কখনো ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জেতেন, কখনো রিপাবলিকান। অন্য কিছু রাজ্য হয় রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাটদের দিকে ঝুঁকে থাকে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, সুইং স্টেটে হ্যারিস ও ট্রাম্প সমানে সমানে লড়ছেন।