1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পের আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করলেন পর্ন তারকা

২৭ মার্চ ২০১৮

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক সময়ের কথিত যৌন সম্পর্কের ব্যাপারে চুপ থাকতে হুমকি দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন স্টর্মি ড্যানিয়েলস৷ কিন্তু হোয়াইট হাউস বলছে, কোনো হুমকি তাঁকে দেয়া হয়নি৷ তবে মানহানির হামলা করেছেন ড্যানিয়েলস৷

https://p.dw.com/p/2v3W6
Stephanie Clifford
ছবি: Getty Images/E. Miller

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত কৌঁসুলি মাইকেল কোয়েনের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস৷ তবে গণমাধ্যমে ট্রাম্পের সঙ্গে ড্যানিয়েলসের অন্তরঙ্গ সম্পর্কের কথা নানাভাবে প্রকাশ হলেও হোয়াইট হাউস এ ধরনের কোনো সম্পর্ক কখনো ছিল না বলে দাবি করেছে৷

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সিনেমার ৩৯ বছর বয়সি এই নায়িকার আসল নাম স্টেফেনি ক্লিফোর্ড৷ গত সপ্তাহান্তে সিবিএস টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে তাঁর মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্পের এক প্রতিনিধি তাঁকে শারীরিকভাবে ক্ষতি করার হুমকি দিয়েছিল৷

এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে:

ড্যানিয়েলসের দাবি, ২০০৬ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে স্বেচ্ছায় যৌনমিলনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি৷ ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়ার সেই সময় বাচ্চা হয়েছিল৷

তাঁর দাবি, ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের কথা ২০১১ সালে বিক্রির চেষ্টাকালে লাস ভেগাসের একটি কার পার্কে ট্রাম্পের এক প্রতিনিধি তাঁকে শারীরিকভাবে ক্ষতি করার হুমকি দিয়েছিলেন৷ ট্রাম্পের প্রতিনিধি নাকি তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘ট্রাম্পকে ছেড়ে দাও, অতীতের কাহিনী ভুলে যাও৷'' সেই সময় ড্যানিয়েলসের নবজাতক সন্তানের দিকে তাকিয়ে নাকি সেই ব্যক্তি বলেছিলেন, ‘‘এই সন্তানের মায়ের যদি কিছু হয়ে যায়, তাহলে তা লজ্জার ব্যাপার হবে৷''

২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে নাকি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ রাখতে তাঁকে ১৩০,০০০ মার্কিন ডলার দেয়া হয়েছিল৷

গত ৬ মার্চ তিনি সেই ঘটনা অপ্রকাশ সংক্রান্ত চুক্তি বাতিলের জন্য আদালতে মামলা করেন, কেননা, ট্রাম্প নাকি সেই চুক্তিতে কখনো স্বাক্ষরই করেননি৷

তাঁর আইনজীবী মাইকেল আভেনাতি দাবি করেছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে ড্যানিয়েলসের সম্পর্কের সিডি বা ডিভিডিও নাকি রয়েছে৷

সর্বশেষ:

সিবিএস-এ রবিবার ড্যানিয়েলসের সাক্ষাৎকার প্রকাশ হওয়ার পর হোয়াইট হাউস এবং কোয়েন পুনরায় জানিয়েছে,  ট্রাম্পের সঙ্গে ড্যানিয়েলসের কোনো সম্পর্ক ছিল না এবং তাঁকে কোনো ধরনের হুমকি-ধামকিও দেয়া হয়নি৷

কোয়ান উল্টো ড্যানিয়েলসের প্রতিই তাঁর বক্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷ জবাবে ড্যানিয়েলস তাঁর মামলায় কোয়েনের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ অন্তর্ভূক্ত করেছেন৷

এআই/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য