ট্রাম্প বিতর্কে যাচ্ছেন না
২৮ জানুয়ারি ২০১৬৬৯ বছর বয়সের সেলিব্রিটি টিভি স্টার ও বিলিওনেয়ার ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি জীবনে কখনো সরকারি পদাধিকারী হিসেবে কাজ করেননি, তাঁরই আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী হবার সম্ভাবনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে – তা সে সম্ভাবনা নিয়ে মিডিয়া থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া অবধি যতই ব্যঙ্গবিদ্রুপ আর রঙ্গরসিকতা করা হোক না কেন৷ একটি টুইটে ঠাট্টা করে দেখানো হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন কিভাবে এই আশা প্রকাশ করছেন যে, ট্রাম্প যখন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সুপ্রিম লিডার' হবেন, তখন কিম হয়তো তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন৷
লেখিকা আয়ানি টেইলর টুইট করেছেন, ‘‘হঠাৎ খেয়াল করলাম যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প সত্যিই প্রেসিডেন্ট হতে পারেন৷ এটা যে একটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি, আমার মগজ সেটা মেনে নিতে চাইছে না৷''
ফক্স-এর সঙ্গে ট্রাম্পের কাজিয়া চলেছে প্রথম রিপাবলিকান প্রাইমারি ডিবেট থেকে, যখন সঞ্চালিকা মেগিন কেলি ট্রাম্প অতীতে মহিলাদের সম্বন্ধে যে সমস্ত মন্তব্য রেছেন, সেই প্রসঙ্গ তোলেন৷ এবার নাকি ট্রাম্প বিতর্ক বয়কট করছেন কেননা ফক্স নেটওয়ার্কের তরফ থেকে ট্রাম্পের তাঁর নিজের টুইটার অনুসরণকারীদের প্রশ্ন করার পদ্ধতিকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে৷
ট্রাম্প টুইটার করেছেন, ‘‘আমি মেগিন কেলিকে ‘বিম্বো' বলব না, কেননা সেটা পলিটিক্যালি করেক্ট হবে না৷ তার বদলে আমি শুধু ওঁকে একজন নগণ্য রিপোর্টার বলব৷'' মার্কিন মুলুকে ‘বিম্বো' কথাটির অর্থ একজন সুন্দরী নারী, যাঁর বিশেষ বুদ্ধিসুদ্ধি নেই৷
এত সব তিক্ততার পর যদি কেউ মনে করেন যে, ফক্স নিউজ আর রিপাবলিকান দল মিলে যে তাঁকে আইওয়ার প্রাইমারি ডিবেটে নাস্তানাবুদ করার পরিকল্পনা করছে, তা আঁচ করতে পেরেই ট্রাম্প বিতর্ক বয়কট করেছেন – যেমন এই টুইটে – তবে তাকে দোষ দেওয়া যায় না৷
আইওয়া প্রাইমারিতে ট্রাম্প এবং তাঁর নিকটতম রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী, গোঁড়া রক্ষণশীল সেনেটর টেড ক্রুজের মধ্যে নিকট প্রতিযোগিতা হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে, যদিও জাতীয় পর্যায়ে রিপাবলিকান ভেটারদের ৪১ শতাংশ ট্রাম্পকে সমর্থন করেন, যেখানে ক্রুজকে সমর্থন করেন মাত্র ১৯ শতাংশ৷
আইওয়াতে তিনজন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থীকেও মাঠে নামতে হবে, এবং সে'ক্ষেত্রে ৭৪ বছর বয়সি সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স, যিনি নিজেকে গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী আখ্যা দিয়েছেন, তাঁর ও হিলারি ক্লিন্টনের মধ্যে প্রতিযোগিতা ইতিমধ্যেই নিষ্পত্তি হয়ে গেছে, বলে মনে করার কোনো কারণ নেই৷
ক্লিন্টন, এমনকি প্রেসিডেন্ট ওবামা স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্রে যে অসহিষ্ণুতার বীজ ছড়াচ্ছে, তা-তে শঙ্কিত৷ যেমন ট্রাম্পের মুসলিম বিদ্বেষ, যে বিষয়ে পল রিকহফ তাঁর টুইটে এক নিহত মার্কিন মুসলিম সৈন্যের কবরের ছবি দিয়ে মন্তব্য করেছেন যে, কতো হাজার মুসলিম সৈন্য যে বীরত্বের সঙ্গে মার্কিন মিলিটারির হয়ে যুদ্ধ করেছেন, তা জানলে ট্রাম্প হয়ত অবাক হবেন৷
মাইকেল কেরি টুইট করেছেন, ‘‘ট্রাম্প সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে আসার আগে সব মুসলিমকে নিষিদ্ধ করার ডাক দিয়েছেন৷ আমি চাই বন্দুকের গুলিতে মানুষের মৃত্যু বন্ধ হওয়ার আগে সব বন্দুক নিষিদ্ধ করা হোক৷''
এসি/ডিজি (এএফপি, এপি)