1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টেলিগ্রামের সিইও-র গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন মাক্রোঁ

৩০ আগস্ট ২০২৪

৩৯ বছরের টেলিগ্রামের সিইও-কে গত শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাকে এর আগে ফরাসি নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছিল।

https://p.dw.com/p/4k4lL
টেলিগ্রামের লোগো
টেলিগ্রামের সিইও গ্রেপ্তারছবি: Andre M. Chang/ZUMA Press Wire/IMAGO

ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বৃহস্পতিবার বলেছেন, টেলিগ্রামের সিইও পাভেল দুরোভকে ফরাসি নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টিতে কোনো ভুল ছিল না। বস্তুত, পাভেল জন্মগতভাবে রাশিয়ার নাগরিক। কিন্তু তার কাজের জন্য ফ্রান্স তাকে ফরাসি নাগরিকত্ব দিয়েছিল।

মাঁক্রো জানিয়েছেন, ''যারা ফরাসি ভাষা রপ্ত করে নিতে পারেন এবং কাজের জগতে বিশেষ অবদান রাখতে পারেন, তাদের ফরাসি নাগরিকত্ব দেয়া হয়। পাভেলের ক্ষেত্রেও তা-ই ঘটেছে। ফলে এখন যারা তাকে নাগরিকত্ব দেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, আমি তাদের সঙ্গে সহমত নই।''

গত শনিবার ফ্রান্সের একটি বিমানবন্দর থেকে পাভেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপটি তার কনটেন্ট বা বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখছে না। ওই অ্যাপের মাধ্যমে অসুরক্ষিত এবং অপরাধমূলক বার্তা চালাচালি হচ্ছে। সাইবার ক্রাইম এবং অপরাধমূলক আইনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ফরাসি আদালত অবশ্য তাকে ৫০ লাখ ইউরোর বন্ডে জামিন দিয়েছে। শর্ত হলো সপ্তাহে দু'বার স্থানীয় থানায় গিয়ে তাকে হাজিরা দিতে হবে। ফ্রান্স ছাড়তে পারবেন না তিনি।

পাভেলের আইনজীবী জানিয়েছেন, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাকে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমস্ত নিয়ম মেনেই টেলিগ্রাম চালানো হয়। ফলে আইনের কোথাও কোনো লঙ্ঘন হয়নি।

শুধু তা-ই নয়, পাভেলের দাবি, তিনি ফ্রান্সে আসছিলেন মাক্রোঁর সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু মাক্রোঁ জানিয়েছেন, পাভেলকে এমন কোনো আমন্ত্রণ ফরাসি প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে দেয়া হয়নি। একইসঙ্গে তার বক্তব্য, পাভেলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার স্বাধীন সিদ্ধান্ত।

রাশিয়ার বক্তব্য

এদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুলেছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, পাভেল ষড়যন্ত্রের শিকার। ফ্রান্সকে হুশিয়ারি দিয়ে পেসকভ জানিয়েছেন, রাজনৈতিক কারণে পাভেলের এই গ্রেপ্তার রাশিয়া কোনোভাবেই মেনে নেবে না। 

পাভেল সংযুক্ত আরব আমিরাতেরও নাগরিক। সেখান থেকেই টেলিগ্রাম চলে। সে দেশের সরকার জানিয়েছে, গোটা বিষয়টির দিকে নজর রাখা হচ্ছে এবং ফ্রান্সের সরকারের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করা হয়েছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি, এপি)