টেক্সাসে প্রাথমিক স্কুলে গুলি, ১৮ শিশু সহ মৃত ২১
২৫ মে ২০২২সাম্প্রতিক সময়ে অ্যামেরিকার স্কুলে এতবড় আক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। এখানে আক্রমণকারী একজন ১৮ বছর বয়সি তরুণ। সে ওই শহরেরই বাসিন্দা। তার কাছে একটি রাইফেল ও একটি হ্যান্ডগান ছিল। সে ঘটনাস্থলে গাড়ি চালিয়ে যায়। তারপর গাড়িটি ফেলে রেখে স্কুলে ঢুকে গুলি চালাতে থাকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্দেশ দিয়েছেন, হোয়াইট হাউস, সেনা ঘাঁটি, নৌবাহিনীর জলযান, মার্কিন দূতাবাসে দেশের পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরছিলেন বাইডেন। ১৭ ঘণ্টার দীর্ঘ বিমানযাত্রার মধ্যে বাইডেন বলেছেন, ''বিশ্বের অন্যত্র তো এই ধরনের আক্রমণের ঘটনা বিরল। তাহলে আমরা কেন এই হত্যালীলার মধ্যে থাকব? কেন এই রকম ঘটনা ঘটতেই থাকবে? ঈশ্বরের নাম নিয়ে মেরুদণ্ড সোজা রেখে আমরা সাহসের সঙ্গে কেন এর মোকাবিলা করতে পারব না? এখনই সময়, বেদনাকে কাজে রূপান্তরিত করার।''
মার্কিন কংগ্রেসে একাধিকবার বন্দুক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন রূপায়ণ করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু শক্তিশালী ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন লবির চাপে শেষপর্যন্ত সেই বিল পাস হয়নি।
ঘটনা সম্পর্কে যা জানা গেছে
ইউভ্যালডি শহর মেক্সিকো সীমান্তের কাছে। এই ছোট শহরে ১৬ হাজার মানুষের বাস। সেখানেই ১৮ বছর বয়সি অভিযুক্ত প্রাথমিক স্কুলে ঢুকে এই তাণ্ডব চালায়। টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট জানিয়েছেন, অভিযুক্তের নাম স্যালভাডোর রামোস। সে মার্কিন নাগরিক। স্কুলে ঢুকে সে নির্মমভাবে ও নির্বিচারে গুলি চালায়।
টেক্সাস ডিপার্টমেন্ট অফ পাবলিক সেফটির কর্মকর্তারা সিএনএনকে জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে রামোস তার দিদিমাকে গুলি করে। তারপর রাইফেল ও হ্যান্ডগান নিয়ে সে গাড়ি চালিয়ে স্কুলে আসে। তার শরীরে ছিল বুলেটের বেল্ট। নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে সে মারা যায়। তার আগে অবশ্য তার গুলিতে ২০ জন মারা যান।
যে বাচ্চারা মারা গেছে তারা দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো। তাদের বয়স সাত থেকে ১০ বছরের মধ্যে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ঘটনার পর পুলিশের প্রহরায় কাঁদতে কাঁদতে বাচ্চারা পার্ক করে রাখা গাড়ি ও বাসের দিকে যাচ্ছে।
এক দশক পর
এক দশক আগে কানেকটিকাটে স্যান্ডি হুকে স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে ২৮ জন মারা গেছিলেন। তারপর ইউভ্যালডির ঘটনাই সবচেয়ে বড় ও নৃশংস স্কুলে আক্রমণের ঘটনা।
বাইডেন জানিয়েছেন, ''গত দশ বছরে নয়শর বেশি স্কুলে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।'' সেনেটার ক্রিস মারফি বলেছেন, ''আমাদের বাচ্চারা ভয়ে ভয়ে থাকছে। যখনই স্কুলে আক্রমণের ঘটনা ঘটে, তখনই তারা ভাবে, এরপর বোধহয় তাদের পালা।''
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)