টেকনাফে এক অপহৃত উদ্ধার হতেই আরেকজন অপহৃত
২৪ মার্চ ২০২৩বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, অপহরণের চার দিন পর তিন লাখ টাকা 'মুক্তিপণের বিনিময়ে' মোহাম্মদ ছৈয়দকে ছেড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা৷
তবে ছৈয়দকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকা থেকে একই সময়ে রহমত উল্লাহ নামের আরও একজনকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে৷
রহমত উল্লাহ (৩৮) হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া ন্যাচারাল পার্ক এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের ছেলে৷
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা জুম্মাপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ ছৈয়দ পাহাড়ি এলাকায় ক্ষেতে কাজ করার সময় অপহরণের শিকার হন৷ বাংলাদেশে আসা পুরাতন রোহিঙ্গা মোহাম্মদ ছৈয়দকে মুখোশ পরা একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে নিয়ে যায়৷
ইউপি সদস্য আলী বলেন, "বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউনিয়নের দমদমিয়া ন্যাচারাল পার্ক এলাকায় দুর্বৃত্তরা মোহাম্মদ ছৈয়দকে ছেড়ে দেয়৷ পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়৷”
ভূক্তভোগী ব্যক্তির স্ত্রী হাসিনা বেগমের বরাতে তিনি বলেন, " সোমবার বিকালে দিকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা অপহৃত ব্যক্তির স্ত্রীর মুঠোফোনে কল দিয়ে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন৷ অন্যথায় মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়৷
"পরে অপহৃত রোহিঙ্গার পরিবারটি বিষয়টি গোপন রেখে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে ছাড়িয়ে এনেছে৷ "
মোহাম্মদ আলী জানান, রাতে মোহাম্মদ ছৈয়দকে ছেড়ে দেওয়া ঘটনাস্থলের সামান্য দূরের এলাকায় একই সময়ে দুর্বৃত্তরা স্থানীয় যুবক রহমত উল্লাহকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে গহীন পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়৷
তবে রহমত উল্লাহর অপহরণের প্রকৃত কারণ নিশ্চিত নন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, "রাত ১১টা পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ-খবর পাওয়া যায়নি৷ এমনকি কোনো ধরনের মুক্তিপণ দাবির খবরও পাওয়া যায়নি৷"
এ ব্যাপারে টেকনাফ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাসির উদ্দিন মজুমদার বিডিনিউজকে বলেন, মোহাম্মদ ছৈয়দ অপহরণ হওয়ার খবর পাওয়ার পর থেকে তাকে উদ্ধারে পুলিশ অভিযান শুরু করে৷ এতে পুলিশের একাধিক দলের পাশাপাশি র্যাব সদস্যরা অভিযান চালায়৷ এ নিয়ে চাপের মুখে পড়ে দুর্বৃত্তরা অপহৃত ব্যক্তিকে ছেড়ে দিয়েছে৷
তবে ভুক্তভোগীর স্বজনদের মুক্তিপণ দেওয়ার বিষয়টি অবহিত নন জানিয়ে তিনি বলেন, "পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টার পরও ভুক্তভোগীর স্বজনরা পুলিশকে তথ্য দিয়ে যথাযথ সহায়তা করেননি৷ মুক্তিপণের বিষয় নিয়ে পরিবারটি পুলিশকে কোনো কিছু অবহিত করেননি৷”
এদিকে রহমত উল্লাহকে অপহরণের ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো ধরনের অভিযোগ আসেনি বলে জানান পরিদর্শক নাছির উদ্দিন৷
এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)