1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিমোশেঙ্কোর বিদায় কিয়েভে, থাকল সম্ভাবনা সূত্র

৪ মার্চ ২০১০

নাফটোগাস প্রধানকে পদচ্যুত করে ইউক্রেইনের সরকার উল্টে গেল বুধবার৷ প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া টিমোশেঙ্কো চলে গেলেন বটে, কিন্তু বড় জোটে ফিরে আসার সম্ভাবনার পথ খুলে রেখেই গেলেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/MJ7U
বিদায়বেলায়৷ ইউলিয়া টিমোশেঙ্কোছবি: picture-alliance/ dpa

প্রত্যাশামতই সংসদে আনা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব বেশ জোরেশোরেই পাশ হয়ে গেল কিয়েভে বুধবার৷ প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া টিমোশেঙ্কোর পাশ্চাত্ত্যপন্থী মন্ত্রিসভার পতন ঘটেছিল মঙ্গলবার আর ইউলিয়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এল বুধবার৷ রুশপন্থী রাষ্ট্রপতি ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ এবার নিজের পছন্দের সরকার গড়বেন স্বচ্ছন্দে৷

দ্বিতীয় দফার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যে তিনি হারতে পারেন এই ভাবনাটা ভাবা তো দূরস্থান, দূর দিগন্তে তেমন কোন সম্ভাবনাই দেখতে পান নি ইউলিয়া টিমোশেঙ্কো৷ প্রথম দফায় ফলাফল ছিল প্রায় ত্রিশঙ্কু৷ এরপর গোঁজ প্রার্থীদের নিজের দিকে টানতে খোলা প্রস্তাবও দিয়ে রেখেছিলেন ইউক্রেইনের নামজাদা কমলা বিপ্লবের অন্যতম নায়িকা ইউলিয়া৷ কিন্তু, কোন খেলাই খাটেনি৷ নির্বাচনের পর দেখা গেল, ইয়ানুকোভিচের পথই হয়ে গেছে ইউক্রেইনের পথ৷ আর সেই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করেও পিছিয়ে আসতে হয়েছে ইউলিয়াকে কারণ, পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ফলাফল নির্ঝঞ্ঝাট৷

Russland Ukraine Energie Gas Pumpstation bei Kursk
ইউক্রেইনের প্রধান বিষয়, গ্যাস সরবরাহছবি: RIA Novosti

শেষ পর্যন্ত অনাস্থা প্রস্তাব এল সংসদে৷ ৪৫০ টি আসনের সংসদে ২৮৬ জনই ইউলিয়া এবং তাঁর সরকারের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন৷ ইউলিয়ার নিজের দল থেকেও তাঁর বিরুদ্ধে গেছে মোট সাতটি ভোট৷ প্রধানমন্ত্রী আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন, অনাস্থায় হেরে গেলে তিনি পর্যবেক্ষক সরকারের প্রধান হয়ে থাকতে চান না৷ অতএব সংবিধান অনুযায়ী আগামী ৩০ দিনের মধ্যে যদি নতুন সরকার গড়তে ব্যর্থ হন সাসংদরা, তাহলে একটা ঝটিকা নির্বাচনের পর গড়ে উঠবে নতুন সরকার, নতুন মন্ত্রিসভা৷ আর ততদিন পর্যন্ত ইউক্রেইনের দায়িত্বভার সর্বতোভাবেই প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচের ওপর৷

বিদায়ী টিমোশেঙ্কো সরকারের বিরুদ্ধে অর্থনীতির চরম অধঃপতনের যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তার ভিত্তি জোরদার ঠিকই, তবে নতুন প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচের সামনে সেটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, বলছেন পর্যবেক্ষকদের একাংশ৷ ইয়ানুকোভিচ নিজেও সেটা ভালোই জানেন৷ যে কারণে বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে একটা মহাজোট সরকার গড়া যায় কিনা তা তিনি ভাবছেন৷ যে সরকারে আবার ভূমিকা নিতে পারবেন হয়তো ইউলিয়া টিমোশেঙ্কো৷

তবে, ইউক্রেইনের যে ইস্যুটিকে নিয়ে আদৌ ইউরোপের মাথাব্যথা, সেই গ্যাস সরবরাহের গতি ঠিক থাকলেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন খুশি৷ কেননা, ইউক্রেইনের মাধ্যমেই রাশিয়ার থেকে আসা আশি শতাংশ গ্যাস পৌঁছয় ইউরোপের ঘরেদোরে৷ কিন্তু যাওয়ার ঠিক আগে ইউলিয়া টিমোশেঙ্কো সরকার একটি কাজ করে গেছে৷ বুধবার আস্থাভোটের আগে সকালের দিকে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ইউক্রেইনের গ্যাস সংস্থা নাফটোগ্যাসের প্রধান ওলেগ ডুবিনাকে পদচ্যুত করে দিয়েছে এই বিদায়ী সরকার৷ যার অর্থ, রাশিয়ার গাজপ্রমের সঙ্গে নাফটোগ্যাসের সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে কিছুটা কাঠখড় পোড়াতেই হবে ইয়ানুকোভিচকে আপাতত৷

প্রতিবেদন- সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা - আরাফাতুল ইসলাম