স্টিফেন হকিং
১৮ মার্চ ২০১২স্টিফেন হকিং যদি অভিনয় করেন, তবে কোন ভূমিকা তাঁকে মানাবে? এ প্রশ্নের উত্তর ক্লাস ওয়ান বা টু'এর বাচ্চারাও দিব্যি অক্লেশে দিয়ে দেবে৷ কেন? হকিং অভিনয় করলে, করবেন হকিং এর নিজেরই চরিত্রে৷ সেটাই করেছেন এই গ্রহের সর্বকালের সেরা পদার্থবিজ্ঞানী৷ স্টিফেন হকিং-এর ভূমিকাতেই, সামান্য একটু সময়ের জন্য টিভির পর্দায় তাঁকে দেখা যাবে৷
‘দ্য বিগ ব্যাং থিওরি'র প্রযোজক বিল প্র্যাডি কী বলছেন? বলছেন, ‘আমাদের শোয়ের বৈশিষ্ট্য হল অতিথি হিসেবে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে আসা৷ অনেকটা মজা করেই একবার বলেছিলাম আগামী চমক হিসেবে আমরা স্টিফেন হকিংসকে নিয়ে আসার স্বপ্ন দেখছি৷ কিন্তু সে তো প্রায় অসম্ভব ব্যাপার! বিষয়টা অনেকটা পৃথিবীতে বসে দূর কোনো নক্ষত্রের দৃশ্য ধারণ করার মতোই৷ আমরা কীভাবে আমাদের শোতে স্টিফেন হকিংকে পেলাম, সেটা আমাদের কাছেও অপার একটি বিস্ময়৷ শুধু বিস্ময়কর নয়, ব্যাপারটা এক্বেবারে রহস্যময় ঘটনা৷ যার সমাধান কেবল স্টিফেন হকিংই দিতে পারেন৷' তা হকিং নাকি শ্যুটিংয়ের সময়েও ছিলেন দারুণ সপ্রতিভ, চটপটে আর যথারীতি বেশ স্মার্ট৷
২০০৭ সালে ওয়ার্নার ব্রাদার্স প্রোডাকশনের ‘দ্য বিগ ব্যাং থিওরি' টিভি শো শুরু হয়েছিল৷ যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস নেটওয়ার্কে এই শো দেখা যায়৷ এদের সবচেয়ে জনপ্রিয় হল বিজ্ঞান ভিত্তিক নাটক৷ সামনের মাসের গোড়াতেই দেখা যাবে হকিংকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর পর্বটি৷
স্টিফেন উইলিয়াম হকিং মোটর নিউরন রোগ ‘এএলএস বা এমায়োট্রফিক ল্যাটারাল সেক্লরোসিস' রোগে ভুগছেন৷ ১৯৮৫ সালে বাকশক্তি চলে যায় তাঁর৷ বর্তমানে পুরোপুরি প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হলেও কিন্তু নিজের কাজ থামান নি হকিং৷ তাঁর মস্তিষ্ক আশ্চর্যভাবে ক্রিয়াশীল এবং তাঁর প্রতিটি কাজ এই মহাবিশ্বের ধ্যানধারণাকে নতুন করে বদলে দিচ্ছে৷ বিশেষ করে ব্ল্যাক হোল নিয়ে তাঁর গবেষণা এ যাবৎ প্রচলিত ধারণাকে সম্পূর্ণ নতুন পথে চালিত করেছে৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: জাহিদুল হক