টিগ্রেতে ইথিওপিয়ার বিমান বাহিনীর বোমাবর্ষণ
১৭ নভেম্বর ২০২০প্রবল আন্তর্জাতিক চাপেও কাজ হলো না। উল্টে টিগ্রের রাজধানীতে ইথিওপিয়ার ফাইটার জেট বোমাবর্ষণ করেছে বলে খবর। জাতিসংঘের উদ্বাস্তু সংক্রান্ত সংস্থার প্রতিনিধি অ্যান এনকন্ট্রে জানিয়েছেন, তাঁর সহকর্মীরা এই বিমানহানার সাক্ষী। তাঁরা যেখানে আছেন, তার কাছেই বোমা পড়েছে। ইথিওপিয়াররাজধানী আদ্দিস আবাবা-তে তিনি আল জাজিরাকে বলেছেন, ''আমি জানি না, টার্গেট কী ছিল বা কাদের লক্ষ্য করে বোমা মারা হয়েছে। মানুষ পালাতে শুরু করেছেন।''
রয়টার্সকে চারজন কূটনীতিক ও সেনা সূত্র জানিয়েছে, রাজধানী শহরের ভিতর ও আশেপাশে বোমা ফেলা হয়েছে। এর ফলে হতাহতের সংখ্যা কত, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কিছুই জানা যায়নি। সরকার এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। টাস্ক ফোর্সের তরফে দাবি করা হয়েছে, সেনা রাজধানী থেকে ১২৫ কিলোমিটার দূরের শহর আলামাটা দখল করে নিয়েছে।
টিগ্রেতে এখনো সাংবাদিকদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। ফোন, ইন্টারনেট অধিকাংশ সময়ই বন্ধ থাকছে। তাই টিগ্রেতে সেনা বনাম টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের মধ্যে যে লড়াই চলছে, তার প্রকৃত ছবি এখনো পাওয়া যাচ্ছে না।
কিন্তু যা জানা গেছে, সমানে টিগ্রে থেকে মানুষ পাশের দেশ সুদানে চলে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ২৫ হাজার মানুষ সীমান্ত পেরিয়েছেন। কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, ''এই লড়াই অনন্তকাল চলবে না। এটা ছোট অপারেশন। আমাদের আর কিছুটা সময় দিন।''
উগান্ডার প্রেসিডেন্ট মধ্যস্থতা করতে চেয়েছিলেন। আরো কিছু দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চেয়েছে। কিন্তু সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁরা তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা চান না।
ডিডাব্লিউ-র প্রতিনিধি কাই নেবে জানাচ্ছেন, এই লড়াইয়ের ফলে আঞ্চলিক পরিস্থিতি খারাপ হবে। এখনই বন্ধ না হলে এই সংঘাত গৃহযুদ্ধের চেহারা নিতে পারে বলে অনেকের আশঙ্কা। তা হলে আশপাশের এলাকায় এর প্রভাব পড়বে। ইথিওপিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী অবশ্য দাবি করেছেন, টিগ্রের পিপলস ফ্রন্টের কোনো শক্তি নেই। অল্প সময়ের মধ্যেই টিগ্রে অধিকার করা সম্ভব হবে।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)