ইউরোপে শরণার্থী সংকট
২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
অনেক শরণার্থীর গন্তব্যই জার্মানি৷ সেখানেই সবচেয়ে বেশি শরণার্থী আশ্রয় পাচ্ছেন৷ শুধু সরকার নয়, সাধারণ মানুষও তাঁদের প্রতি সংহতি দেখিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে৷ হাতে গোনা চরম দক্ষিণপন্থিদের তাণ্ডব নিয়ে তাই বেশিরভাগ মানুষই মাথা ঘামাচ্ছে না৷ হাঙ্গেরিতে আটকে পড়া শরণার্থীরা ‘জার্মানি, জার্মানি’ রব তুলছেন৷ এ বিষয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন শেরিং লামা শেরপা৷
মহম্মদ ইসমাইল জার্মানির একটি ট্রেনের গায়ে আরবি ভাষায় লেখা একটি গ্রাফিটির ছবি শেয়ার করেছেন৷ তাতে শরণার্থীদের স্বাগত জানানো হয়েছে৷
শরণার্থী সংকটের মাঝে জার্মানির অনেক মানুষের সংহতির অনেক দৃষ্টান্ত গোটা বিশ্বের নজর কাড়ছে৷ সেই বিষয়টিই তুলে ধরেছেন লান্স অ্যান্ডারসন৷
একদিকে জার্মানির সরকার ও মানুষের উদার মনোভাব, অন্যদিকে ব্রিটেনের সরকারের অনড় অবস্থান নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধছে৷ ‘অটো ইংলিশ’ নামের টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘জার্মান সরকার শরণার্থীদের প্রতি যে আচরণ করছেন, তাতে আমাদের লজ্জা হওয়া উচিত৷ তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়েছে...’’
টম লিকিস লিখেছেন, এই মুহূর্তে ব্রিটেনের প্রতি তেমন ভালবাসা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না৷ জার্মানি ব্রিটেনের উপর চাপ বাড়াচ্ছে৷
ব্রাংকো মিলানোভিচ মনে করিয়ে দিচ্ছেন, যে নিয়তির এমনই পরিহাস যে জার্মানি ইরাক ও লিবিয়ার উপর হামলার বিরোধিতা করেছিল৷ এখন সে দেশই শরণার্থীদের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করছে৷ অন্যদিকে ফ্রান্স ও ব্রিটেন শুধু পর্যবেক্ষণ করে চলেছে৷ আর অ্যামেরিকা তো অনেক দূরে৷
শরণার্থী সংকটকে কেন্দ্র করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্য গভীর বিভাজন আর গোপন কোনো বিষয় নয়৷ সাধারণ শরণার্থী নীতির খোঁজ চললেও সবাই তার সাফল্য চায় না৷ এ বিষয়ে লেখা ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ পত্রিকার প্রতিবেদনটি শেয়ার করেছেন অনেকে৷