1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে আবার সংকটের আশঙ্কা

৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

করোনা টিকাদান কর্মসূচি থমকে যাওয়ায় জার্মানিতে সংকটের চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা বাড়ছে৷ আগামী সপ্তাহে বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে আরও গতি আনতে চায় সরকার৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানুষের দায়িত্ববোধ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/406NV
Impfkampagne Deutschland
ছবি: Ying Tang/NurPhoto/picture alliance

একাধিক শিল্পোন্নত দেশের মতো জার্মানিতেও করোনা টিকা নেবার ক্ষেত্রে প্রাথমিক উৎসাহের পর ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ সুযোগ সত্ত্বেও সেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না৷ অথচ বিশেষ করে ডেল্টার মতো ভেরিয়েন্ট মোকাবিলার জন্য জনসংখ্যার কমপক্ষে ৮০ শতাংশের করোনা টিকা পাওয়া উচিত বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন৷ সেটা সম্ভব না হলে আসন্ন হেমন্তকালে জার্মানিতে করোনা ভাইরাসের চতু্র্থ ঢেউ আবার সংকট সৃষ্টি করতে পারে বলে তারা সতর্ক করে দিচ্ছেন৷ এই মুহূর্তে প্রায় ৬১ শতাংশ করোনা টিকার সব প্রয়োজনীয় ডোজ নিয়েছেন৷ প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৬৬ শতাংশ৷ করোনা সংক্রমণের সাপ্তাহিক গড় হার প্রায় ৮৭ ছুঁয়েছে৷ তবে পর পর দুই দিন সেই হার সামান্য কমায় উদ্বেগের কারণ কিছুটা কমেছে৷

জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবার অবশিষ্ট মানুষের উদ্দেশ্যে দ্রুত করোনা টিকা নেবার আবেদন করেছেন৷ ব্যক্তিগত সংশয় সরিয়ে রেখে বৃহত্তর সমাজের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত জরুরি বলে তিনি মনে করিয়ে দেন৷ তবে ভবিষ্যতেও করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে তিনি মনে করেন৷

রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের প্রধান লোটার ভিলারও আরও বেশি মানুষকে করোনা টিকার আওতায় না আনতে পারলে মারাত্মক পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন৷ তিনি মনে করিয়ে দেন যে করোনা মহামারি এখনো শেষ হয় নি৷ টিকা না নেবার কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর হার বাড়ার আশঙ্কা সম্পর্কে হতাশা প্রকাশ করে ভিলার বলেন, এই পরিস্থিতি এড়ানোর ক্ষমতা মানুষের হাতেই রয়েছে৷ রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের হিসেব অনুযায়ী করোনা টিকা নেবার কারণে শুধু চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসের মধ্যে প্রায় ৭৭ হাজার মানুষের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া. প্রায় ২০ হাজার মানুষের ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি হওয়া এবং প্রায় ৩৮ হাজার মানুষের মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হয়েছে৷

স্পান ও ভিলার জানিয়েছেন, যে জার্মানির হাসপাতালগুলির ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে বর্তমানে মূলত করোনা টিকা না নেওয়া মানুষের চিকিৎসা চলছে৷ তাদের মতে, স্বাস্থ্য পরিষেবা অবকাঠামোর উপর অতিরিক্ত চাপ এড়ানো প্রশাসনের লক্ষ্য৷ জার্মানিতে সুযোগ সত্ত্বেও করোনা টিকা না নেওয়া মানুষের সংখ্যা এখনো অত্যন্ত বেশি হওয়ায় সংকটের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ বিশেষ করে ১২ বছরের কম বয়সিদের জন্য এখনো কোনো টিকা না থাকায় শিশুদের সংক্রমণ এড়ানো অত্যন্ত জরুরি৷

এমন প্রেক্ষাপটে করোনা টিকার গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে প্রচার অভিযানে আরও গতি আনার ডাক দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷ বিশেষ করে জার্মানির পূর্বাঞ্চলে চিকার হার কম থাকায় সেখানে বাড়তি উদ্যোগ নেবার ডাক দিয়েছেন চিকিৎসক সংঘের প্রধান ক্লাউস রাইনহার্ট৷ জার্মানির সরকার আগামী সোমবার থেকে গোটা দেশজুড়ে এক সপ্তাহের বিশেষ কর্মসূচি আয়োজন করছে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য